• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০১৯, ০৮:৪৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৭, ২০১৯, ০৮:৪৯ এএম

সিটি কাউন্সিলর শামীমের গ্রামের বাড়িতে কর্মচারীকে গুলি করে হত্যা

সিটি কাউন্সিলর শামীমের গ্রামের বাড়িতে কর্মচারীকে গুলি করে হত্যা

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ( ডিএনসিসি) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম হাসানের গ্রামের বাড়িতে গুলিতে কর্মচারী খুন হয়েছেন। কাউন্সিলর শামীমের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানের তালতলায়। নিহত ব্যক্তির নাম ওবায়দুল ইসলাম (৩০)। নিহত ওবায়দুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারীতে। তিনি শামীমের গ্রামের বাড়িতে তার ঘর নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তার গলায় এবং পায়ে গুলি লেগেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদউদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার রাতে বলেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হলে ইউনুসসহ ৩ ব্যক্তি তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার গলায় এবং পেটে গুলি লাগে। পৌনে ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। কুড়িগ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল একজন রাজমিস্ত্রি হলেও কাউন্সিলর শামীম হাসানের নির্মাণাধীন বাড়ির তদারকির কাজ তিনি করতেন বলে ওসি জানান। 

কাউন্সিলর শামীম তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ওই আওয়ামী লীগ নেতার গ্রামের বাড়িতে ওবায়দুল খুন হয়েছেন। যে পিস্তলের গুলিতে ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন, ওই অস্ত্রটি ওই আওয়ামী লীগ নেতারই বলে পুলিশের ধারণা করছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের ওই নেতা বলছেন, ওই খুন কীভাবে হল, তা তিনি জানেন না।

ঘটনাটি শোনার পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে কাউন্সিলর শামীমের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথাই অস্বীকার করেন। তবে স্বীকার করে তিনি বলেন, সেখানে তার বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণ শ্রমিকদের টাকা দিতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ওবায়দুলকে টাকা দিয়েই ঢাকায় চলে আসি। পরে শুনে (ওবায়দুলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর) হাসপাতালে যান।

ওবায়দুল কীভাবে গুলিবিদ্ধ হন, এ বিষয়ে ওসি ফরিদ বলেন, শোনা গেছে, নাড়াচাড়া করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সে। ইসমাইল নামে একজনকে (ওই গ্রামেরই) ধরতে পারলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। আমরা ইসমাইলকে ধরার এবং অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছি। অস্ত্রটি কার, জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমরা ধারণা করছি, অস্ত্রটি শামীম সাহেবের। তবে কে গুলি ছুড়েছে, তার মুখ থেকে না বলা পর্যন্ত জানা যাবে না। আর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো লোক নেই। ইসমাইল গ্রেপ্তার হলে বলা যাবে, অস্ত্রটি তার, না কি অন্য কারও। তবে কাউন্সিলর শামীমের বৈধ অস্ত্র রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তা পুলিশের কাছে জমা দিতে প্রস্তুত বলেও তিনি জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে আপনার অস্ত্রেই ওবায়দুল গুলিবিদ্ধ হয়েছে কিনা?  এমন প্রশ্নের জবাবে শামীম বলেন, কার অস্ত্রের গুলিতে খুন হয়েছে, তা তদন্ত করে বের করবে পুলিশ। এজন্য খুব শিগগিরই অস্ত্র সিরাজদিখান থানায় জমা দেওয়া হবে। গুলিটা কে করল, এটা আমাকে জানতে হবে বলেও আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর শামীম। 

এইচএম/আরআই