ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, বনানীতে চীনের নাগরিক গাওজিয়া হুই হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ চুরি। কারণ তাকে হত্যার পর ফ্ল্যাট থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা চুরি করা হয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশের মুখপাত্র বলেন, চীনা ওই নাগরিক যে বাড়িতে থাকতেন, গ্রেফতার হওয়া দুজন সেখানে নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারা ওই বাড়ির ছাদে একটি ঘরে বসবাস করতেন।
তিনি আরো বলেন, চীনের ওই ব্যক্তিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তার নাকে-মুখে রক্ত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। হত্যার পর তার মরদেহ গুম করার চেষ্টা করা হয়। পরে পাশের খালি প্লটে মাটি চাপা দেয়া হয়। চুরি করা টাকা অর্ধেকের মতো উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার দিন গ্রেফতারকৃতরা ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ভিডিও রেকর্ড না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।
গত বুধবার বনানীর একটি খালি প্লটে মাটির নিচ থেকে একটি মরদেহের গোড়ালির অংশ বের হয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিয়েছিলেন।
বনানীর যে বাড়িতে গাওজিয়াং হুই বছর খানেক ধরে বাস করতেন, তার পেছনের খালি প্লটেই তার মরদেহটি মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিল।
মরদেহ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ভবনের নিরাপত্তা কর্মী, তার গাড়িচালক ও গৃহকর্মীসহ ৫ জনকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদেরকে প্রথমে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
পরে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে আব্দুর রউফ (২৬) ও এনামুল হককে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ।
টিএফ