• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২০, ০৯:০১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৫, ২০২০, ০৯:০৭ এএম

মজনুর সঙ্গে জব্দ আলামতের মিল পেয়েছে ডিবি

মজনুর সঙ্গে জব্দ আলামতের মিল পেয়েছে ডিবি
গ্রেফতার ধর্ষক মজনু - ছবি : কাশেম হারুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সব আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডিবির কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। যেসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে তা সংগৃহীত আলামতের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাছাড়া ধর্ষক মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদেও যে তথ্য বেরিয়ে সে তথ্যের সঙ্গে ল্যাবরেটরি থেকে পাওয়া তথ্য মিলেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।

চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণ মামলা নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হাসপাতালে তার কাছ থেকে নেওয়া তথ্যের সঙ্গে মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের হুবহু মিল রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। সেগুলো ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে ধর্ষক মজনুর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদনের মিল রয়েছে।

উপকমিশনার বলেন, এখন কেবল ওই তরুণীর ভ্যাজাইনাল সোয়াবের সঙ্গে মজনুর ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনের ম্যাচিং বাকি। এছাড়া বাকি সব পরীক্ষার রিপোর্ট মিলেছে। তাতে এটি স্পষ্ট হয়, মজনুই ওই ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে।

ডিসি মশিউর আরও বলেন, রিমান্ড শেষে মজনুকে আদালতে পাঠানো হবে। আদালতে মজনু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবে বলে সম্মত হয়েছে। তার জবানবন্দি পাওয়া গেলে এবং ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে এলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চার্জশিট দেয়া হবে।

গত ৮ জানুয়ারি গ্রেফতারের পরদিন ৯ জানুয়ারি মজনুকে আদালতে হাজির করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দারা মজনুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেদিন থেকেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে রেখে মজনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রিমান্ডেও গোয়েন্দাদের কাছে ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মজনু। ঢাবি শিক্ষার্থী ছাড়াও মজনু গত ১০ বছর ধরে একাধিক প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুক নারীকে ধর্ষণ করার কথাও অকপটে স্বীকার করেছে। মজনু একাই যে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে, তার সঙ্গে আর কেউ ছিল না, জিজ্ঞাসাবাদে সে কথাও মজনু জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাবির এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডে নামেন। সেখান থেকে তার গন্তব্যে যাওয়ার সময় তাকে অনুসরণ করে মজনু। একপর্যায়ে তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। শিক্ষার্থীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করলে ৪ দিনের দিনের মাথায় গত ৮ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর শেওড়া রেলক্রসিং থেকে মজনুকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ধর্ষক মজনুকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, মজনু একজন মাদকাসক্ত। সে বিভিন্ন সময় চুরি ও ছিনতাই করত। সুযোগ বুঝে অসহায় নারীদের ধর্ষণ করত। সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।

এইচএম/একেএস

আরও পড়ুন