জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় দুই ভাই এনামুল হক ও রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ২৬ এপ্রিল (রোববার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ দিন ধার্য করেন।
এদিন তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
অপরদিকে অসৎ উদ্দেশে অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী মামলা করেন।
১৩ জানুয়ারি (সোমবার) সকালে তাদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। কেরানীগঞ্জে মোস্তফার বাড়ি থেকে বেনামি পাসপোর্ট তৈরি করে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন এনামুল ও রূপন।
দুইজনকে গ্রেফতারের পর সিআইডি জানায়, দেশে ক্যাসিনো কারবার চালুর পেছনের হোতা তারা দুই ভাই। নেপালিদের মাধ্যমে দুই ভাই বিদেশ থেকে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম নিয়ে আসেন। এরপর তা ছড়িয়ে দেয়া হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এ কারবারে দুই ভাই ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ বনে যান।
এ দুজনের মোট ২২টি বাড়ি ও জমি রয়েছে, যার অধিকাংশই পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক।
সারাদেশে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় ৯১টি অ্যাকাউন্টে তাদের মোট ১৯ কোটি টাকা জমা রয়েছে। ব্যক্তিগত পাঁচটি গাড়িও রয়েছে দুই ভাইয়ের। সেপ্টেম্বরে দু’জনের বাড়িতে অভিযানের সময় পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছিল।
জানা যায়, সেগুলো ব্ল্যাকমানি (কালো টাকা) ছিল। দেশের বাইরে পাচার করতে তারা সেগুলো রেখেছিলেন।
এসএমএম