• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২০, ০৬:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৯, ২০২০, ০৬:৩৪ এএম

সিসি টিভি ফুটেজ প্রকাশ

বখতিয়ার মেম্বারকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করে প্রদীপ-মর্জিনা (ভিডিও)

বখতিয়ার মেম্বারকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করে প্রদীপ-মর্জিনা (ভিডিও)
বখতিয়ার মেম্বারের বাসায় প্রদীপ-মর্জিনার নেতৃত্বে পুলিশি হানা
 
​২৪ জুলাই দৈনিক জাগরণ প্রকাশিত সংবাদে মেম্ববার নিহতের তথ্য

সাবেক মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ঘুষবাণিজ্যের একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সামনে এলো সিনহা হত্যার মাত্র এক সপ্তাহ আগে উখিয়ার ইউপি সদস্য বখতিয়ার মেম্বারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কথিত বন্দুক যুদ্ধে হত্যার তথ্য। আর একাজে প্রদীপের প্রত্যক্ষ সহযোগি ছিলেন উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা।

ভিডিও: বখতিয়ার মেম্বারকে বাসা থেকে তুলে নেয়ার সিসি টিভি ফুটেজ : যমুনা টিভির সৌজন্যে

জানা যায়, মোটা অংকের ঘুষবাণিজ্যের পাশাপাশি বিশেষ একটি মহলের ইশারাতেও বিভিন্ন সময় এমন বহু ক্রসফায়ার নাটকের মঞ্চায়ণ করেছেন সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস। যেখানে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়ককে কার্যত ‘ডেথ জোনে’ পরিণত করেন তিনি।

অভিযোগ আছে, চাহিদা মতো টাকা না পেলেই বন্দুকযুদ্ধের নামে ক্রসফায়ার দিতেন তিনি।
সিনহা হত্যার ৭ দিন আগে পাশের উখিয়া থানার ইউপি মেম্বার বখতিয়ারকে ধরে নিয়ে যান ওসি প্রদীপ। পরে তাকে ক্রসফায়ার দিয়ে বন্দুকযুদ্ধে নাটক সাজিয়ে মামলা দেন।  এ ঘটনার সত্যতা ফুটে ওঠে মাঝরাতে বখতিয়ার মেম্বারের বাড়িতে প্রদীপ-মর্জিনার নেতৃত্বে পুলিশি অভিযানের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২২ জুলাইয় মধ্যরাতে উখিয়ার কুতুপালং গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য বখতিয়ার আহমেদের বাড়িতে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আক্তারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। পরিবারের সদস্যরা যখন ঘুমাচ্ছিলেন ঠিক তখন পুলিশের চিৎকারে ঘুম ভাঙে তাদের। অভিযানে বখতিয়ার মেম্বারকে তার বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে তুলে নেয়ার সময় বাধা দেয় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ‘তার সঙ্গে একটু কথা আছে’ বলে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর খোঁজ খবর করে বখতিয়ার মেম্বারের হদিস পাননি স্বজনরা।

২৩ জুলাই সন্ধ্যার পর উখিয়ার বখতিয়ার মেম্বারের বাড়িতে আবারও আসেন টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আক্তার। এ দফায় ভেঙে ফেলা হয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। তারপর চালানো হয় তল্লাশি। ওই রাতেই টেকনাফের হ্নিলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জনের মৃত্যু খবর পায় বখতিয়ারের পরিবার। তারা জানতে পারে, বখতিয়ার মেম্বার ও মোহাম্মদ তাহের নামের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে ‘বন্দুকযুদ্ধে’।

ভোরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসে তাদের লাশ।
এর আগে ২৩ তারিখ রাতেই ১৫ জনকে আসামি করে একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয় টেকনাফ থানায়। তারপর অস্ত্র মামলাসহ আরও একটি মামলা হয় বখতিয়ার মেম্বারের তিন ছেলের বিরুদ্ধে। 

বখতিয়ার মেম্বারের ছেলের বউয়ের অভিযোগ, সেদিন সন্ধ্যায় পরের দফায় বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া জিনিষগুলোর অনেক কিছুই সিজার লিস্ট-এ নাই। তিনি বলছেন,  ওসি প্রদীপ দাশ নেয় ১৮ লাখ টাকা। ২ লাখ টাকা নেয় উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা।
মানব পাচার ও রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে তালিকায় নাম ছিল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত উখিয়ার বখতিয়ার মেম্বারের। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় ছিল না তার নাম।

এসকে