• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ১১:০৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ১১:০৭ এএম

দলবেধেঁ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ

যেভাবে গ্রেফতার হলেন মাহফুজ

যেভাবে গ্রেফতার হলেন মাহফুজ

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেধেঁ ধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আরেক আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতের বেলা লুঙ্গি পরে পালাতে গিয়ে গোয়েন্দা জালে গ্রেফতার হন তিনি। মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম এই মামলার এজাহারভুক্ত ছয় নম্বর আসামি।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সমন্বয়ে কানাইঘাট থানা-পুলিশ জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে মাহফুজকে গ্রেফতার করে।

মাহফুজ এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের স্মাতক (সম্মান) শ্রেণির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ছাত্রাবাসে ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মধ্যে তিনিই একমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থী। তার নামে ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দ ছিল। তবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় সিটটি কলেজ কর্তৃপক্ষ বাতিল করেছে। মাহফুজের বাড়ি সিলেটের সীমান্ত উপজেলা কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের লামা-দলইকান্দি গ্রামে।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ একই দিন চারজন গ্রেফতার হওয়ার পর মাহফুজ ও তারেককে ধরতে তৎপর ছিল পুলিশের একাধিক দল। এর সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতাও ছিল। এলাকায় আছেন এমন তথ্যে সোমবার থেকে কানাইঘাট, জকিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর এলাকায় তৎপরতা চালানোর একপর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যে খবর পেয়ে হরিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় মাহফুজ পরনের লুঙ্গি ছিল। তিনি গ্রেফতার এড়াতে এই বেশ ধরেছিলেন। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামিরা মহামারি করোনার কারণে কলেজ ছাত্রাবাস বন্ধ থাকলেও এরা প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রাবাসের বেশ কয়েকটি কক্ষ দখল করে সেখানে বসবাস করছিল এবং নানা অপকর্ম করছিল। সন্ধ্যার পরে তারা মদ-জুয়ার আসর বসাত বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে তারা স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। 

জাগরণ/এমআর