চাহিদার চেয়ে আমদানি বেশি। এ কারণে পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলপাড়ের পশুর হাটে পড়ে গেছে কোরবানির পশুর দাম। আশানুরূপ দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন উপজেলার ১২ শতাধিক খামারি।
বন্যার কারণে এবং বেশি পরিমাণ গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্ট করায় আমদানি বেড়েছে, বলছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন। ভারতীয় গরুও আমদানি বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলায় এ বছর ১০ হাজারের বেশি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে স্থানীয় খামারিদের কাছে ছাগল-ভেড়া বাদে গবাদিপশু রয়েছে ৭ হাজার ২৭০টি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে রয়েছে এ তথ্য। ছাগল-ভেড়ার সঠিক পরিসংখ্যান নেই স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে। গত বছর উপজেলায় ৭ হাজার গরু ও ৩ হাজার ছাগল-ভেড়া কোরবানি দেয়া হয়েছিল।
চাটমোহরের বড় পশুরহাট অমৃতকুণ্ডায় ষাঁড় বিক্রি করতে এসেছিলেন আ. লতিফ। তার কথায়, ক্রেতারা যে দাম বলছেন, তাতে লালন-পালনের খরচই উঠবে না। তাই ষাঁড়টি বিক্রি করেননি তিনি।
একই হাটে আসা খামারি শফিকুল বলছেন, ‘বাড়ির ওপর যে আকারের ছাগল ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি, হাটে সেই একই আকারের ছাগলের দাম ক্রেতারা বলছে ১০ হাজার টাকা।’
বিক্রেতারা বলছেন, ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বিক্রি হচ্ছে ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়। চাটমোহর নতুনবাজার হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন গোলাম মোস্তফা। তার কথায়, গত বছর যে গরু লাখ টাকার ওপর বিক্রি হয়েছে, এ বছর সেই আকারের গরু পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায়।
জাবরকোল গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রব্বান জানাচ্ছেন, তিনি একটি ষাঁড় কিনেছেন ৯০ হাজার টাকায়। ষাঁড়টির মাংস পৌনে পাঁচ মণ হবে বলে অনুমান করছেন তিনি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলেন, ‘আমার কাছেও গবাদিপশুর দাম গতবারের চেয়ে কম মনে হয়েছে। আমি কয়েকটি হাট ইতোমধ্যে ঘুরেছি। আশানুরূপ দাম না পেলে খামারিরা কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করা থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও মনে করেন তিনি।
এনআই