• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২০, ০৯:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০২০, ০৯:৩৪ পিএম

কোভিড-১৯

তারপরেও জিডিপির হার ধরে রাখবে বাংলাদেশ

তারপরেও জিডিপির হার ধরে রাখবে বাংলাদেশ

বিশ্ব অর্থনীতি

.....

করোনাভাইরাস সৃষ্ট কোভিড-১৯ এর কড়াল গ্রাসে বাংলাদেশসহ বিশ্ব অর্থনীতি। গোটা বিশ্বেই আর্থিক বৃদ্ধির হার ব্যাপকভাবে কমছে। কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে অর্থনীতি- তার একটা চিত্র তুলে ধরেছে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। দেশভিত্তিক প্রস্তাবিত জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রকাশ করেছে আইএমএফ। সেখানে বলা হয়েছে কোভিডের প্রভাবের মধ্যেও ২ শতাংশ পর্যন্ত জিডিপির হার ধরে রাখতে পারবে বাংলাদেশ। আনন্দবাজার এর অবলম্বনে সদ্যপ্রকাশিত তথ্যচিত্রটি তুলে ধরা হলো দৈনিক জাগরণ এর  পাঠকদের জন্য। গ্রন্থনা— এসএম মুন্না

২০১৯ এ কোনও দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কেমন ছিল, ২০২০-তে কেমন হতে পারে এবং করোনা-উত্তর সময়ে অর্থনীতি বৃদ্ধির হার কেমন হতে পারে, তার আগাম পূর্বাভাস দিলো আইএমএফ। তাতে দেখা যাচ্ছে, উন্নত ও উন্নয়নশীল বেশিরভাগ দেশেরই ২০২০ সালে ঋণাত্মক বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে।

দেশভিত্তিক ছাড়া বিশ্ব অর্থনীতির একটা দিক-নির্দেশও রয়েছে আইএমএফ-এর এই পূর্বাভাসে। তাতে ২০১৯ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ২.৯ শতাংশ। সেখান থেকে এ বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে সেই হার নেমে যেতে পারে ঋণাত্মক বৃদ্ধিতে (-৩ শতাংশ)। তবে ২০২১ সালে বৃদ্ধির হার হতে পারে ২০১৯-এর দ্বিগুণ অর্থাৎ ৫.৮ শতাংশ।

উন্নত দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকায় ২০১৯ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ২.৩ শতাংশ। ২০২০ সালে সেই হার হতে পারে -৫.৯ শতাংশ। ২০২১ সালে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই বৃদ্ধি হতে পারে ৪.৭ শতাংশ।

ইউরোপ অঞ্চলের মধ্যে ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। ফলে অর্থনীতিতেও তার ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছে আইএমএফ। ২০১৯ সালে বৃদ্ধি ছিল ১.২ শতাংশ। ২০২০ এবং ২০২১ সালের পূর্বাভাসে সেই হার হতে পারে যথাক্রমে -৭.৫ শতাংশ এবং ৪.৭ শতাংশ।

জাপানে করোনাভাইরাসের বিরাট প্রভাব না থাকলেও অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। ২০১৯-এ জাপানে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ০.৭ শতাংশ। ২০২০ সালে -৫.২ শতাংশ। ৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি হতে পারে ২০২১ সালে।

ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ যেখান থেকে ছড়িয়েছিল বলে ধরা হচ্ছে, সেই চীনের অবস্থা কিন্তু ততটা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই পূর্বাভাস আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের। এই পরিস্থিতিতেও চীনের জিডিপি বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক হবে না এ বছর। ২০১৯ এ চীনে বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ। এ বছর সেটা নেমে আসতে পারে ১.২ শতাংশে। আর ২০২১-তে আবার পৌঁছে যেতে পারে ৯.২ শতাংশে।

চীনের থেকেও ভারতের অবস্থান ভাল জায়গায় থাকবে বলেই মত আইএমএফ-এর। ২০১৯-এর জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশ থেকে নেমে পৌঁছে যেতে পারে ১.৯ শতাশে। তবে অধিকাংশ দেশেই এ বছর ঋণাত্মক বৃদ্ধির পূর্বাভাস হলেও ভারতে তা হবে না বলেন মত আইএমএফ-এর। ২০২১ সালে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.৪ শতাংশ।

তবে এই তালিকায় কার্যত সবচেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ৭.৯ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছিল ২০১৯ সালে। এ বছর করোনার প্রভাবের মধ্যেও সেই হার ২ শতাংশ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবে বলে মত প্রকাশ করেছে আইএমএফ। আর ২০২১ সালে বাংলাদেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৯.৫ শতাংশ।

ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের এ বছরের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে -১.৫ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই হার ছিল ৩.৩ এবং ২০২১ সালে হবে ২.০ শতাংশ, ভবিষ্যদ্বাণী আইএমএফ-এর।

রাশিয়ায় ২০১৯ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১.৩ শতাংশ, এ বছর সেটা দাঁড়াতে পারে-৫.৫ এবং ২০২১-এ হতে পারে ৩.৫ শতাংশ। সৌদি আরবের জিডিপি এ বছর নেমে যেতে পারে -২.৩ শতাংশ পর্যন্ত। ২০১৯ সালে ছিল ০.৩ শতাংশ এবং ২.৯ শতাংশ হতে পারে ২০২১ সালে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১৯ এ জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ০.২ শতাংশ। সেখান থেকে চলতি বছরে নামতে পারে -৫.৮ শতাংশে। আগামী বছরের সম্ভাব্য বৃদ্ধির হার ৪.০ শতাংশ। অন্যদিকে ব্রাজিলে গত বছরের ১.১ থেকে জিডিপি বৃদ্ধির হার নামতে পারে -৫.৩ শতাংশ। ২০২১ সালে হতে পারে ২.০৯।

এসএমএম

আরও পড়ুন