• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০১৯, ০৮:২৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৪, ২০১৯, ০৮:২৩ এএম

শনিবার ভিসির পদত্যাগে বিক্ষোভ করবে চিকিৎসকরা

শনিবার ভিসির পদত্যাগে বিক্ষোভ করবে চিকিৎসকরা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ- ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত ও মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তা না হলে শনিবার (১৫ জুন) থেকে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে যাবেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে জড়ো হয়ে তারা একথা জানান।

এর আগে এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ডাক্তার মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট বৈঠক শেষে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলবে। যত দ্রুত সম্ভব এই পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে।
এছাড়া তিনি বলেন, গত ১১ জুন বিএসএমএমইউতে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট সভা। এই কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দেবে।

বিএসএমএমইউতে ওইদিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ওই ঘটনার কারণেই এই  জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং। সেদিন যারা ভাঙচুর চালিয়েছিল তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে কাল শনিবার মেডিকেল অফিসার নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার অনুত্তীর্ণ আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভিসির সিদ্ধান্ত বাতিল ও মামলা প্রত্যাহার না করলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন। আন্দোলনের ঘোষণা ও চিকিৎসকদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। নিয়মিত আনসার সদস্য ছাড়াও পুরো নিচতলা ও প্রশাসনিক ভবনের বাইরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ জুন) মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলার দ্বিতীয় দিনে তা আপাতত স্থগিত করেন বিএসএমএমইউর  উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা প্রায় এক মাস ধরে পরীক্ষা বাতিল ও পুনঃনিরীক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।

আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অভিযোগ, এদিনও পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করেছে, হামলা চালিয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আমাদের নামে মামলা করেছে বলেও দাবি করেন তারা। তবে ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশের কর্মকর্তা বলছেন, হামলার ঘটনা হয়নি। উপাচার্যের নির্দেশ ছিল কোনো বহিরাগত যেন প্রবেশ করতে না পারে। তাই ধস্তাধস্তির কিছু ঘটনা ঘটেছে।

প্রসঙ্গত, ২০০টি মেডিকেল অফিসারের পদে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএইউ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৮০ জন এমবিবিএস ও ২০ জন বিডিএস চিকিৎসক চাওয়া হয়। প্রথম দফায় নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও সেটি পিছিয়ে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়। পরীক্ষা নেয়ার জন্য প্রশ্নপত্রও ছাপানো হয়। কিন্তু অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাপা হওয়ার দেড় বছর পর গত ২২ মার্চ সেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামে চিকিৎসকদের একাংশ।

এইচ এম/টিএফ