• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২০, ০৫:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৯, ২০২০, ০৫:১৫ পিএম

শান্তিতে নোবেল পেল বিশ্ব খাদ্য সংস্থা

শান্তিতে নোবেল পেল বিশ্ব খাদ্য সংস্থা

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ (ডব্লিউএফপি)।

চলমান করোনা মহামারির কারণে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) নরওয়ের অসলো থেকে নরওয়ের নোবেল কমিটি ভার্চুয়ালি এ পুরস্কারের জন্য ডব্লিউএফপির নাম ঘোষণা করে।

ক্ষুধা মোকাবিলা, সংঘাতকবলিত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা, সংঘাত এবং যুদ্ধে ক্ষুধাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে অসামান্য অবদান রাখায় সংস্থাটিকে ২০২০ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলো। 

নোবেল কমিটি জানায়, ক্ষুধা মোকাবিলায় এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বৈশ্বিক সবচেয়ে বৃহৎ মানবিক প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএফপি। ২০১৯ সালে ৮৮টি দেশে এ সংস্থা ১০ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে বৈশ্বিক ক্ষুধা পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিশ্ব খাদ্য সংস্থা অভূতপূর্ব সক্ষমতা দেখিয়েছে বলেও জানায় নোবেল কমিটি।

নরওয়ের নোবেল কমিটির সভাপতি বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসন এ বছর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এ সময় সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। 

তিনি বলেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে শান্তিতে নোবেল দেয়ার কারণ হলো- ক্ষুধার্ত এবং ক্ষুধার হুমকিতে থাকা লাখ লাখ মানুষের প্রতি সংস্থাটি সজাগ ছিল। 

মানুষ যাতে ক্ষুধায় না ভোগে তা নিশ্চিতে জাতিসংঘের সংস্থাটিকে পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানোও এ পুরস্কারের লক্ষ্য বলে জানান তিনি। বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি ছাড়াও ডব্লিউএফপি নোবেল পাওয়া জন্য যোগ্য ছিল। বৈশ্বিক এ সংকটে সংস্থাটি যেভাবে বহুপক্ষীয় পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো ডব্লিউএফপিকে নোবেলের জন্য আরও যোগ্যতর করেছে বলে জানান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান।

জাতিসংঘের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ডব্লিউএফপি। মানুষের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরও বলেন, খাদ্য মানুষের অতীব গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা।

শান্তিতে নোবেলের জন্য এ বছর বিবেচনায় ছিলেন ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এর আগে গত বছর এ শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী। তিনিও যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নোবেল পান।

আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে এ বছর বিজয়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে নোবেল পুরস্কার তুলে দেয়া হবে। করোনার কারণে আয়োজন সীমিত করা হয়েছে।

জাগরণ/এমইউ