• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২০, ১১:৫৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৯, ২০২০, ১১:৫৮ এএম

নৈঋতার দশ বছরে ১১ টি জাতীয় পুরস্কার অর্জন

নৈঋতার দশ বছরে ১১ টি জাতীয় পুরস্কার অর্জন

টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নৈঋতা হালদার এবার বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড’ পেল

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি মাত্র ১০ বছরের শিক্ষা জীবনে নৈঋতা অর্জন করেছেন ১১ টি জাতীয় পুরস্কার। জেলা শহরে থেকে এটি অত্যন্ত কঠিন ও বিরল ঘটনা। সারাদেশে টাঙ্গাইলের মুখ উজ্জ্বল করায় তাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলাবাসী। 

জানা গেছে, নৈঋতা হালদার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াকালীন ২০১৪ সালে অভিনয়ে শ্রেষ্ঠ, অষ্টম শ্রেণীতে ২০১৮ সালে শ্রেষ্ঠ এবং নবম শ্রেণীতে ২০১৯ সালে ২য় স্থান অধিকার করে। ২০১৫ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াকালীন উপস্থিত বক্তৃতা এবং কবিতা আবৃতিতে ২য় হয়। ২০১৯ সালে নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন লোকনৃত্যে ৩য় ও দশম শ্রেণীতে ২০২০ সালে স্কাউটের প্রতিভা অন্বেষণ উচ্চাঙ্গ নৃত্যে ১ম হয়েছে। স্কাউটিং এ ২০১৫ সালে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াকালীন শাপলা কাব , অষ্টম শ্রেণীতে ২০১৮ সালে সমাজ উন্নয়ন এবং দশম শ্রেণীতে প্রেসিডেন্ট’স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ পেয়েছে। নবম শ্রেনীতে পড়াকালীন ২০১৯ সালে দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর মুকুট অর্জন করে। বিষ্ময়কর বিষয় ২০১৯ সালে একবর্ষে জাতীয়ভাবে ৩টি পদে পুরস্কার পাওয়া দেশের একমাত্র শিক্ষার্থী হলো নৈঋতা হালদার। ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল আর্ট প্রতিযোগিতায় তার আর্ট মনোনিত হয়েছে।

বাবা অরিন্দম হালদার ও মাতা চিনো রানী বিশ্বাসের একমাত্র মেয়ে নৈঋতার জন্ম ২০০৫ সালের ৪ মে মির্জাপুরের বহনতলী গ্রামে মামার বাড়িতে। পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জ শহরে।

নৈঋতার বাবা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং মা বঙ্গের আলীগড় খ্যাত সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা।

মায়ের চাকরির সুবাদে নৈঋতার বেড়ে ওঠা টাঙ্গাইলেই। সে ২০১৫ সালে কুর্নি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মির্জাপুর উপজেলায় প্রথমস্থান অধিকার করে এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। এরপর টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়। এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পেয়েছে অসংখ্য পদক-পুরস্কার। নৈঋতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শিক্ষামন্ত্রীর হাত থেকে ৪ বার করে পুরস্কার গ্রহণ করেছে। সরকারি শিক্ষা সফরে গিয়েছে বিদেশ।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার ও পুলিশ লাইনস আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, নৈঋতা দেশের সম্পদ। ওর প্রতিভা বিকাশের সুযোগ ও পরিবেশ আমাদের তৈরি করে দিতে হবে। বড় হলে দেশের জন্যে মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।

জাগরণ/কেএ/এমআর