• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২১, ০৮:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৩০, ২০২১, ০৮:২৫ পিএম

ঢাবির বিরুদ্ধে মামলা করবেন সামিয়া রহমান

ঢাবির বিরুদ্ধে মামলা করবেন সামিয়া রহমান

একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিনজন শিক্ষকের পদাবনতি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসিক সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সামিয়া রহমান জাগরণকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কাগজ আসার পরই আদালতে মামলা করবো।”

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে প্রায় চার বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী ফোরাম। 
শাস্তি পাওয়া ওই তিন শিক্ষক হলেন, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘আ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : আ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নিজস্ব জার্নাল সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউয়ে প্রকাশিত হয়। তখন অভিযোগ ওঠে, ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ১৯৮২ সালে প্রকাশিত ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ শীর্ষক নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা নকল করেছেন তারা। 
এরপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানায় ওই গ্রন্থের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস৷ অভিযোগটি তদন্ত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদকে প্রধান করে একটি কমিটি করে সিন্ডিকেট৷

তদন্ত শেষে ২০১৯ সালে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, সামিয়া-মারজানের চৌর্যবৃত্তির অভিযোগটির সত্যতা মিলেছে।

অভিযোগে সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি দিয়েছে সিন্ডিকেট। আগামী দুই বছরের মধ্যে তিনি পদোন্নতির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এখন শিক্ষা ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে আছেন। ছুটি শেষে ফেরার পর তিনি পদোন্নতি পেয়ে যেতেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভাগে যোগ দেওয়ার পর তাকে আরো দুই বছর প্রভাষক পদে চাকরি করতে হবে। নিজের পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককে পদাবনতি দিয়ে প্রভাষক করা হয়েছে। তার নকল পিএইচডির অনুমোদনও বাতিল করে দিয়েছে সিন্ডিকেট।