চলতি বছর এবং আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের মাধ্যমে নেওয়া হবে। এছাড়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষাও নেওয়া হবে একই পদ্ধতিতে। তবে করোনার সংক্রমণের কারণে যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে জেএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে করা হতে পারে।
বুধবার (২৬ মে) অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং খোলার বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এবার পরীক্ষা ছাড়াই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পাস দেওয়ার সুযোগ কম। দেওয়া ঠিকও হবে না। তাই এ বছর সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে এসএসসি এবং ৮৪ দিন ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এসব শিক্ষার্থীকে আগামী জুন থেকে সপ্তাহে দুটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।”
২০২২ শিক্ষাবর্ষেও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হবে জানিয়ে দিপু মনি আরো বলেন, “ওই বছর এসএসসি পরীক্ষার জন্য ১৫০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ১৮০ দিন ক্লাস করানো হবে। এই জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি করা হয়েছে।”
জেএসসি পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষমন্ত্রী বলেন, “করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জেএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হলে, সেটি নেওয়া হবে। আর যদি জেএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে অ্যাসাইনমেন্টের মধ্যেমে এসব শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা হবে। অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে মূল্যায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৪ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ২৯ মে পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা ছিল। কিন্তু সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী ১৩ জুন থেকে ধীরে ধীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রথমে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।