• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০১৯, ০৬:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২২, ২০১৯, ১২:৪৫ এএম

বাঘাইছড়ি হত্যাকাণ্ড

নিহতদের সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দেবে নির্বাচন কমিশন

নিহতদের সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দেবে নির্বাচন কমিশন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) কে এম নূরুল হুদা

উপজেলা নির্বাচনের দিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে নিহতদের প্রত্যেককে সাড়ে পাঁচ লাখ টানা দেবে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। এছাড়া তাদের পরিবারের কেউ যদি চাকরিযোগ্য থাকে এবং নির্বাচন কমিশনে যদি সুযোগ থাকে তাহলে তাদের চাকরি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার(সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, পাহাড়ের ওপর থেকে দৃস্কৃতিকারীদের অতর্কিত গুলবর্ষণে ভোটগ্রহন কর্মকর্তা আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যসহ সাতজন নিহত হয় এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৃশংস ও বর্বর হামলায় নির্বাচন কমিশন মর্মাহত।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৭জন ও চট্টগ্রামে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিইসি বলেন, এই ঘটনা ঘটনার সাথে সাথে কমিশন তাদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো চোরাগুপ্তা হামলা। এ জাতীয় ঘটনা ঘটবে এটা তো কেউ আশঙ্কা করে না। সতর্কতামূলক হিসেবে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছি। যার ফলে সারাদিন নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদিও তারা কোথাও কোথাও অপচেষ্টা চালিয়েছিল।সার্বক্ষণিক টহলদারির কারণে তারা নির্বাচনে ব্যাহত করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। রাতের অন্ধকারে অতবড় পাহাড়ি অঞ্চলে কোথায় কীভাবে এ জাতীয় আক্রমণ হয় এটা অ্যাসেস করা এবং পিঙ্ক আউট করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, এ রকম হামলা স্থায়ী হয়না। এক মিনিট বা দুই মিনিট হামলা করে তারা চলে যায়। এক দেড় মিনিটের মধ্যে একটা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়ে আবার কাউন্টার অ্যাটাক করা এটা সম্ভব নয়। হামলার পর বিজিবির যে গাড়ি ছিল তারা সেখানে গিয়ে উদ্ধার করা, আহতদের ওখান থেকে সরিয়ে নেওয়া, আমাদের খবর দেওয়া, হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা। এ সকল কাজ তারা করেছে। দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে তারা কেউ যে গাফিলতি করেছে তা নয়।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বা সব দেশেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন বর্জন করার রীতি আছেই। বর্জন করে ফেলে। বর্জন করে পরবর্তীতে এ রকম অবস্থা হবে এটা তো ধারণা করা সম্ভব হয়নি।

প্রাথমিকভাবে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। এখনও তদন্তাধীন আছে। এখনও সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা এখনও পর্যন্ত মনে করি এটা আঞ্চলিক সমস্যা বর্হির্প্রকাশ। বা যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তারা এটা করে থাকতে পারে। এটা আমাদের ধারণা।

সিইসি আরও বলেন, দেশের অন্যান্য জায়গায় পরিস্থিতি ভালো। ভোটাররা তো ভোট দিতে যাচ্ছে না। উপস্থিতি খুবই কম, আপনাদের আহ্বানটা কি থাকবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটাররা আসবে কি আসবে না সেটা প্রার্থীদের দায়িত্ব। আর যারা ভোট দিতে আসবে। যারা আসবে তারা ভোট দেবে, যারা আসবে না তারা দেবে না। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।

হাশা/এসএমএম