• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০৮:৩৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০১৯, ০৯:৫৪ এএম

ইসির ইফতারিতেও ‍‍‘বৈষম্য‍‍’

ইসির ইফতারিতেও ‍‍‘বৈষম্য‍‍’
ইসির ইফতার পার্টিতে সিইসি কে এম নূরুল হুদা ; ছবি- দৈনিক জাগরণ


পবিত্র রমজানের ইফতার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনদের দাওয়াত দিয়ে নিজেরা ভাল আর বেশি আইটেমের খাবার খেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাসহ অন্যান্য কমিশনাররা। এছাড়া সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্লেটেও ভাল খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। তবে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের দেয়া হয়েছে কম আর নিম্নমানের ভিন্ন খাবার।

মঙ্গলবার (২১ মে) একই ছাদের নিচে দুই রকম ইফতার আয়োজন করে ইসি। ফলে ইফতার শেষে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে দেখা দেয় ক্ষোভ।

ইসির ইফতারের আয়োজন করা হয় নির্বাচন ভবনের ফোয়ারা চত্বরে। সেখানে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন সাবেক অনেক নির্বাচন কমিশন ও কর্মকর্তা। আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, র‌্যাব প্রধান বেনজীর আহমদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ অনেকে। তাদের সবাইকে নিয়ে ইসির কর্মকর্তারা উন্নত ও উপাদেয় খাবার খেলেও অন্যদের ভাগ্যে তা জোটেনি। তারা খেয়েছেন ১৪ ধরনের আইটেম। আর অন্যদের জন্য বরাদ্দ ছিল ১১ ধরনের আইটেম।

খাবারের তালিকা থেকে জানা যায়, কমিশনারদের চোখে ‘সাধারণ’ মানুষদের জন্য ট্যাং-এর শরবত বরাদ্দ থাকলেও তারা সেই শরবতের পাশাপাশি খেয়েছেন পোস্তা বাদামের শরবত। বাড়তি হিসেবে ছিল লাল আঙ্গুর আর চিকেন ভুনা। কিন্তু সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব খাবার পাননি। ভিন্ন মেন্যুতে তাদের জন্য বরাদ্দ ট্যাং এর শরবত আর মাটন তেহারির প্যাকেট । তারা খেয়েছেন বুফে পদ্ধতিতে।

ইফতার পার্টিতে অংশ নেয়া সাংবাদিক কাজী হাফিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই এমনটা সম্ভব। পবিত্র রমজানের ইফতার অনুষ্ঠানে এক ছাদের নিচে বসে আজ সাধারণ খাবারের অতিরিক্ত হিসেবে নিজেরা খেলেন পোস্তা বাদামের শরবত, লাল আঙ্গুর আর চিকেন ভুনা। কমিশন সচিবালয়ের উঁচু পদের কর্মকর্তারাও এই বিশেষ ভোগ থেকে বঞ্চিত হননি। কিন্তু সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারী আর সাংবাদিকরা এসব খাবার পেলেন না। ভিন্ন মেন্যুতে তাদের জন্য বরাদ্দ ট্যাং এর শরবত আর মাটন তেহারির প্যাকেট। নির্বাচন কমিশনার আর কমিশনের উঁচু পদের কর্মকর্তাদের মেন্যুর সাথে সাধারণ কর্মকর্তা -কর্মচারী ও সাংবাদিকদের মেন্যুটা পড়লেই বৈষম্যটি বুঝতে পারবেন। সৌভাগ্যবানদের জন্য ১৪টি আইটেম আর হতভাগ্যদের জন্য ১১টি ।’

তার এই স্ট্যাটাসের পর একাধিক মন্তব্য পড়েছে। মশিউর খান নামে একজন লিখেছেন-‘ধর্ম পালনেও বৈষম্য ? এরই নাম ইসি (ছি: ছি:)।’

মাহবুব জুয়েল লিখেছেন-ইফতার নিয়েও তারা এমন অবিবেচকের মত কাজ কিভাবে করলো!!

এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার নির্বাচন কমিশন সচিবের নম্বরে ফোন দিলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার দৈনিক জাগরণকে বলেন, এই ধরনের বৈষম্যের কথা আমার জানা নেই। আর আমি জানতামও না কার কার কি কি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ধরনের বৈষম্য হয়ে থাকলে সত্যিই তা দুঃখজনক।

এইচএস/আরআই