• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০১৯, ০২:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩০, ২০১৯, ০২:২২ পিএম

চ্যালেঞ্জ ছিল, মোকাবেলা করেছি: বিদায় সংবর্ধনায় ইসি সচিব 

চ্যালেঞ্জ ছিল, মোকাবেলা করেছি: বিদায় সংবর্ধনায় ইসি সচিব 


‘একাদশ জাতীয় সংসদ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল, আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি।’ আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে নিজের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বিদায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব করা হয়েছে। নতুন কর্মস্থলে যাওয়ার আগে নির্বাচন ভবনে শেষ অফিস দিনে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমি ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই এখানে সচিব হিসেবে যোগদান করি। প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি সময় পর আমি আরেকটি মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছি। এখানে কাজ করা অবস্থায় আপনারা সবাই আমাকে যেভাবে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ইসি সচিব বলেন, আমি আসার পরই আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জটি ছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা। আল্লাহর রহমতে এবং সকলের সহযোগিতায় আমরা সেটি করতে সক্ষম হয়েছি। 

ইসি সচিব বলেন, মাননীয় নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, তাদের নির্দেশনা, পরামর্শ এবং তাদের দেখানো পথে এবং আপনাদের সকলের সকলের সহযোগিতায় আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে পেরেছি। 

তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে সুসম্পন্ন করা এটা কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সামনে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন অতীতে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অথবা সামরিক শাসনামলে অথবা রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন হয়েছে বটে কিন্তু তাতে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি ৭০ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সেই নির্বাচনেও কিন্তু সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। প্রথমবারের মতো একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের অধীনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণই করেনি, মিনিমাম ভায়োলেন্সের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এরপরই চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার যত কমই হোক না কেন কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে এ নির্বাচনটা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এ দুটি বৃহত্তম নির্বাচনে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল, আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি।

বিদায়ী ইসি সচিব বলেন, যেখানেই কাজ করি না কেনো আমি এমনভাবে কাজ করি যাতে সেখানকার মানুষ বা যাদের নিয়ে আমি কাজ করি সেখান থেকে আসার পর কমপক্ষে পাঁচটি বছর আমার কথা মনে রাখেন। আমি সর্বাত্মকভাবে মন দিয়ে আমার কাজটা করার চেষ্টা করি। 

তিনি আরো বলেন, সরকার যোগ্য মনে করেছে বলেই আমি এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমি চেয়েছি নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হোক। সেজন্য কাজ করে গেছি। 

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমরা যদি ইভিএম ব্যবহার করতে পারি, তাহলে নির্বাচন কেন্দ্রিক যে সহিংসতা এবং নির্বাচন কেন্দ্রিক মানুষের মধ্যে যে ভয়ভীতি সেটা অনেকাংশে কমে আসবে। 

এইচএস/আরআই