• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৩:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৩:০৮ পিএম

ভোটারতালিকায় রোহিঙ্গা, খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রামে কবিতা খানম

ভোটারতালিকায় রোহিঙ্গা, খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রামে কবিতা খানম
কবিতা খানম - ফাইল ছবি

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও তাদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম গেছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সেখানে পৌঁছে ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন। রোহিঙ্গাদের ভোটারতালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়ে সব রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা, বিশেষ কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেবেন তিনি।

জানা গেছে, মিয়ানমারের এসব শরণার্থীদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তিও দেয়া হবে। ইসির কর্মকর্তারা দায়ী থাকলে তাদের বরখাস্ত করা হবে। এজন্য কবিতা খানম এখন সেখানে অবস্থান করছেন। এছাড়া দেশের সব উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসের সার্ভারের বিদ্যমান পাসওয়ার্ড ও কোড নম্বর পরিবর্তন করে নতুন ‘সিকিউরিটি ফিচারস’ সন্নিবেশ করেছে ইসি।

ইসি সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে বেরিয়ে- এসেছে চট্টগ্রামে ভোটারতালিকা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ দিয়েই রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে। তবে এগুলো হারিয়ে গেছে না নির্বাচন কর্মকর্তারা তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি দুদক। তাই তারা আরো তদন্ত করছে। ২০১৫ সালের পর থেকে এই ল্যাপটপগুলোর কোনো হদিস নেই।

জানতে চাইলে ইসি সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার অপতৎপরতা রোধে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে কারো সংশ্লিষ্টতা পেলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে। ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী বা অন্যরা জড়িত থাকলে বিভাগীয় মামলা করা হবে।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মাঠপর্যায়ের সব সার্ভার স্টেশনের নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কেউ যেন কোনোভাবে কারো বিষয়ে অপতৎপরতা চালাতে না পারে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এনআইডি জালিয়াত চক্রের ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, একই এলাকার একটি ভোটার বইয়ের ৭৪টি নিবন্ধন ফরমের মাধ্যমে অন্তত ৬ জেলার ১৪টি থানা নির্বাচন অফিস থেকে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা হয়েছে। আর এ ঘটনা যেন ফাঁস না হয়, সেজন্য কৌশল হিসেবে ওই বইয়ের ফরমে ভোটার করা হয়েছে রোহিঙ্গার পাশাপাশি কয়েকজন প্রকৃত নাগরিককেও। ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন- এমন ৪৬ জন রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরইমধ্যে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারে ব্লক করেছে ইসি। কিছুদিন আগে নিহত রোহিঙ্গা ডাকাতের কাছ স্মার্ট কার্ড পাওয়া যায়। 

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন