• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২১, ০৪:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৬, ২০২১, ১০:২৪ পিএম

সাক্ষাৎকার

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ‘আগুন’ জ্বলবেই: জাহারা মিতু

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ‘আগুন’ জ্বলবেই: জাহারা মিতু
জাহারা মিতু। ছবি: ইন্টারনেট

বিষাদে ভরা ছিল ২০২০। লাভ-ক্ষতির অঙ্ক সামলে নতুন করে পৃথিবীর পথচলা শুরু। এই পথচলায় সঙ্গী হয়েছেন জাহারা মিতু। পুরোনো বছরের অন্ধকার দূরে ঠেলে আলোর সন্ধানে এগিয়ে যেতে চান দৃপ্ত পায়ে।


জাগরণ অনলাইন: ২০২০ সালকে বলা হচ্ছে বিশে বিষ। বছরটা কতটা বিষময় ছিল আপনার জন্য?

জাহারা মিতু: ভয়ানক একটি বছর কাটিয়েছি আমরা। বছর শেষে যে বেঁচে আছি, এটাই বড় পাওয়া। করোনার সময় কলকাতায় ছিলাম শুটিংয়ে। যেদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো, সেদিনই আমি দেশে ফিরি। দেশে ফিরে আমি আমার পরিবারের করো সঙ্গে দেখা করিনি। কোয়ারেন্টিনে ছিলাম। আমার মা আমাকে দূর থেকে খাবার দিয়েছেন। আপনজনরা আমাকে বাইরে থেকে দেখে গেছেন। সেসব দৃশ্য মনে পড়লে এখনো বিভীষিকাময় মনে হয়। সেই দিনগুলো যেন আর জীবনে না আসে। 

জাগরণ অনলাইন: নতুন বছরের পরিকল্পনা জানতে চাই।

জাহারা মিতু: সেভাবে কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ইচ্ছা আছে ভালো কিছু কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করা। এমন কিছু কাজ করতে চাই, যা আমার আলাদা পরিচয় বহন করবে। এমন একটি ছবি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছি, যে কারণে কাজ করার আগে অনেক কিছু ভাবতে হয়। 

জাগরণ অনলাইন: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঈদুল ফিতরে আপনার অভিনীত ‘কমান্ডো’ ছবি মুক্তি পাবে। ছবিতে আপনার সহশিল্পী দেব। দেব দর্শন কেমন হলো?

জাহারা মিতু: দেব প্রথম দিকে যে ধরনের চঞ্চল প্রকৃতির চরিত্রে অভিনয় করতেন, বাস্তবে তিনি ঠিক তেমনই। খুব প্রাণবন্ত একজন মানুষ। ইউনিটের ছোট ছোট বিষয়েরও তিনি খবর রাখেন। কাজ করতে গিয়ে তিনি আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। কাজ করতে গিয়ে কোনোরকম অসুবিধা হয়নি। মানসিকভাবে তিনি সাহস দিয়েছেন আমাকে।

জাগরণ অনলাইন : কলকাতায় শুটিং করেছেন। ওখানে কাজের অভিজ্ঞতা বলুন। 

জাহারা মিতু: তাদের সময়জ্ঞান অনেক ভালো। টাইম টু টাইম কাজ হয়। অন্তত আমি যে কদিন শুটিং করেছি, তাতে তাই মনে হয়েছে। আমাদের দেশে তেমনটা হয় না। তবে কাজের ধরন দুই বাংলাতে একই। আমরা যদি সময়কে গুরুত্ব দিতাম, তাহলে আরো ভালো আউটপুট আসত। 

জাগরণ অনলাইন: ইসলাম ধর্মে আঘাত হানার অভিযোগে ইউটিউব থেকে ‘কমান্ডো’ ছবির টিজার নামিয়ে ফেলা হয়েছে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টির কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

জাহারা মিতু: আমার প্রথম পরিচয় আমি মুসলিম। এরপর আমি মানুষ। তারপর বাংলাদেশি। আমি ছবির স্ক্রিপ্ট পড়ে চুক্তিবদ্ধ হই। যদি স্ক্রিপ্টে ইসলাম অবমাননার কোনো বিষয় থাকত, তাহলে আমি সিনেমাটিতে অভিনয় করতাম না। আমার নিজস্ব একটি মূল্যবোধ আছে। পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। এমন কিছু আমি কখনোই করব না, যা মানুষের অনুভূতিতে আঘাত হানে।

অনেকে টিজার দেখে সমালোচনা করছেন। আসলে তারা ছবির গল্প জানেন না। তাদের জায়গায় আমি হলেও হয়তো এমন সমালোচনা করতাম। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, ছবিতে এমন কোনো দৃশ্য রাখা হয়নি, যা ইসলাম ধর্মকে আঘাত করে। আমার বিশ্বাস, ছবিটি মুক্তি পেলে মানুষের ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে। এখানে ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসেবেই দেখানো হয়েছে। 

জাগরণ অনলাইন : পোস্টার, টিজার—সবকিছু দেবসর্বস্ব। আপনি কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন ছবিতে?  

জাহারা মিতু: কমান্ডোরূপেই আবির্ভূত হব আমি। কিছু মানুষ আছেন, যারা ধর্মকে পুঁজি করে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে নানা রকম নাশকতা করে। তাদের বিরুদ্ধেই আমরা অভিযানে নামি। বাকিটা সিনেমা মুক্তি পেলেই বুঝতে পারবেন।

জাগরণ অনলাইন : আপনার প্রথম ছবি ‘আগুন’। সেটির কাজ থমকে গেছে মধ্যপথে। কোনো আক্ষেপ?

জাহারা মিতু: না, কোনো আক্ষেপ নেই আমার। ‘আগুন’ সিনেমার কারণে আজকে আমি আরো ছবিতে কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। ওই ছবিটি আমার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এটা ঠিক ছবিটির কাজ বন্ধ আছে। তবে আমি এখনো আশা ছাড়িনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ‘আগুন’ জ্বলবেই! লকডাউনের আগে ছবির শিডিউল নিয়ে কথাও হয়েছে। তবে যখন মনে হবে, ছবিটি হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই, তখন আক্ষেপ লাগতে পারে। 

জাগরণ অনলাইন : ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি এপার বাংলার সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে। দ্বিতীয় ছবি ওপার বাংলার সুপারস্টার দেবের বিপরীতে। শাকিব খান ও দেব; কাকে এগিয়ে রাখবেন?

জাহারা মিতু : এটা তো আসলে বলা যায় না। দুজনই অসাধারণ অভিনেতা। সহকর্মী হিসেবে কাজের সময় তাদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পেয়েছি। শাকিব ও দেব—নিজ নিজ জায়গায় এগিয়ে। তবে দেশের প্রতি টান থেকে আমার কাছে এগিয়ে শাকিব খান।
 

আরও পড়ুন