• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০১৯, ০৮:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১, ২০১৯, ০৮:০৯ পিএম

জেলা শহরগুলোতে শরীরচর্চা বিনোদনের ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল

জেলা শহরগুলোতে শরীরচর্চা বিনোদনের ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল

‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে শরীরচর্চা ও অবকাঠামো সুবিধা’ সংক্রান্ত গবেষণায় ২২টি জেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ৪৫ ভাগ জেলা প্রশাসনের অধীনে কোনো মাঠ নেই। ২২ জেলার মধ্যে ১৫টি (৬৮ ভাগ) জেলায় কোন পার্ক নেই। যে ৭টি জেলায় পার্ক আছে তার ৩টিরই ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো লোকবল নেই। মাত্র ৫টি জেলায় ব্যায়াগার আছে। মাত্র ২টি জেলায় সাঁতার কাটার জন্য পুল ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে এবং ২২টি জেলার মাত্র ৩টিতে হাঁটার সুব্যবস্থা আছে। মাত্র ২টি জেলায় নারী ও শিশুদের জন্য হাঁটা ও কায়িক পরিশ্রমের ব্যবস্থা আছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সম্মেলন কক্ষে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আর্ক ফাউন্ডেশন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও সেন্টার ফর ল’ এন্ড পলিসি এফেয়ার্স সম্মিলিতভাবে এই গবেষণা করে।

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পবার সহ-সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রহমান। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন নীতি বিশেষজ্ঞ এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। 

বিদ্যমান তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং তথ্য অধিকার আইনের সাহায্যে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে ৪টি সিটি করপোরেশন, ২২ টি জেলা, ১০টি জেলার সরকারি এবং বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং ২৫ টি পৌরসভা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি এ সংশ্লিষ্ট বাৎসরিক প্রতিবেদন, আইন, নীতি, কার্যক্রম ও বাজেট বিশ্লেষণ করা হয়।

গবেষণায় উঠে এসেছে, ২৫টি পৌরসভার মধ্যে ২১টির আওতায় কোন খেলার মাঠ নেই। ১৫টিতে পার্ক আছে। মাত্র ২টিতে ব্যায়ামাগার আছে এবং ৪টি পৌরসভায় সাঁতার কাটার জন্য পুল ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ৪টি সিটি করপোরেশনের ৩টি মাঠের ২টিই ইজারা দেয়া হয়। ৩টি পার্ক রয়েছে, ১টিতে ব্যায়ামাগার আছে, ২টিতে সাঁতার কাটার জন্য পুল ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ১০ টি জেলার ৫০১টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সরকারি স্কুলে মাঠ নেই এবং ১৪টি বেসরকারি স্কুলে মাঠ নেই, কোন স্কুলেই ব্যায়ামাগার নেই। সাঁতার কাটার জন্য কোন সুইমিং পুল নেই এবং সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মাত্র ৪টি জেলার স্কুলে খেলাধুলার জন্য বাজেট বরাদ্দ আছে।

প্রতিবেদনের ওপর আলোচনায় পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, জাতি গঠনের জন্য শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে ওঠা আবশ্যক। 

অধ্যাপক রুমানা হক বলেন, এ সংক্রান্ত যে আইনগুলো রয়েছে সেখানে কাউকে তা বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়নি। তাই এই আইন প্রতিচালন না হওয়ার জন্য কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার সুযোগ নেই। 

ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন হতে হবে জীবনের মত করে। জীবনের সাথে সম্পর্কহীন উন্নয়ন আমাদের পেছনের দিকে নিয়ে যায়। এই গবেষণা জীবনের মত করে উন্নয়ন নিয়ে ভাবতে আমাদের পথ দেখাবে।

টিএস/টিএফ

আরও পড়ুন