• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০১৯, ০৬:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৬, ২০১৯, ০৯:০১ পিএম

‘টিকাদান কার্যক্রম সফল হওয়ার কারণে জনগণের গড় আয়ু বেড়েছে’  

‘টিকাদান কার্যক্রম সফল হওয়ার কারণে জনগণের গড় আয়ু বেড়েছে’  
‘ভ্যাকসিন হিরো ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক -ছবি : কাশেম হারুন

টিকাদান কার্যক্রম সফল হওয়ার কারণে জনগণের গড় আয়ু বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর ‘ভ্যাকসিন হিরো ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে টিকাদান কর্মসূচির সাথে যুক্ত স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, এক সময় ভালোভাবে দেশে টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন হতো না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় টিকা প্রদান করার কারণে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। পূর্বে প্রতি হাজারে ১৪০ জন শিশু মারা যেত। বর্তমানে সে সংখ্যা শুধু ৪০ জনে নেমে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আমরা প্রায় ৩ লাখ শিশুর অপমৃত্যু ঠেকাতে পেরেছি। তাছাড়া ঠিকমতো টিকা নেয়ার কারণে পোলিও সহ নানা দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ।

 

চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর টিকাদান কার্যক্রমের বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন কর্তৃক ‘ভ্যাকসিন হিরো ২০১৯’ সম্মাননায় ভূষিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সম্মাননা গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এ পুরস্কার আমার না। এটা বাংলাদেশের জনগণকে আমি উৎসর্গ করলাম। আর এই অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

জাহিদ মালেক বলেন, যাদের নিরলসভাবে কাজ করার কারণে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হিসেবে খেতাব পেয়েছেন তাদের সকলের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আসলে ভ্যাকসিন হিরো আপনারাই। আমরা কিভাবে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছি আমাদের কষ্ট সে ভাবে ভাগ করে নিয়ে আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আগেভাগে উন্নয়ন কার্যক্রম চালু থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নত দেশে পরিণত হবে। 

মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী এ কে এম মহিউল ইসলাম, ইউনিসেফের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ভীরা মেনডোনছা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপ্রেজেনটেটিভ বর্ধন জং রানা প্রমুখ।

আরএ/একেএস 
 
    

 

আরও পড়ুন