• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০১৯, ০৪:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৫, ২০১৯, ০৬:১৭ পিএম

ভোট ভারতে

অস্বস্তি পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের

অস্বস্তি পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের
লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ (প্রতীকী ছবি)

ভোটের বাজারে একের পর এক বাউন্সারে রীতিমত অস্বস্তিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃনমূল। আর এর সুযোগ নিয়ে বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেরা কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূলকে। গোটা দেশে লোকসভা ভোটের ঘোষণা হতেই দেখা গেল, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ২ জন সাংসদ ও একজন বিধায়ক দল বদলে বিজেপি-র টিকিটে প্রার্থী হয়ে গেছেন। 

বস্তুত ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে তত দেখা যাচ্ছে, মূলত তৃনমূল ছেড়ে বহু কর্মী-সমর্থক বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন। মমতাকে অস্বস্তিতে ফেলেছে শিক্ষক পদের চাকরি প্রার্থীরা। রাজ্যের এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা স্বচ্ছভাবে নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলার মেয রোডে অনশনে বসেন। এই নিয়ে শাসকদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। টানা ২৯ দিন অনশন চলার পর মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে অনশন ওঠে বটে। কিন্তু জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দাবি মানা না হলে ফের অনশনে বসবেন ওই শিক্ষক প্রার্থীরা। এই অনশন ওঠার পরের দিন ওই একই জায়গায় অনশনে বসেন রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষক পদপ্রার্থীরা। শুক্রবার ভোররাতে জোর করে, লাঠি চালিয়ে তুলে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে বুধবার প্রশাসনের সদর কার্যালয় নবান্নে অভিযান করবেন মাদ্রাসা পদপ্রার্থীরা। 

স্কুলস্তরের শিক্ষকদের নিয়ে এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যেই নারদ কেলেঙ্কারী ও বিমানবন্দরের স্বর্ণ-কান্ড নতুন করে চাপে ফেলে দিয়েছে নেত্রীকে। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ম্যাথু স্যামুয়েল নাম এক সাংবাদিক স্টিং অপারেশন চালিয়ে দেখান, সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ ও নেতা নাগাদ টাকায় ঘুষ নিচ্ছেন। এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আদালতে তারা জানিয়েছে, আর মাসখানেকের মধ্যে চার্জশিট পেশ করা হবে। এর অর্থ, ভোটের ভাড়া বাজারে নারদের চার্জশিট জামা পড়বে আদালতে। এই নিয়ে তৃনমূল-বিরোধীদের হাতে নতুন কোন অস্ত্র ওঠে কি না, সেটাই দেখার। এরই মধ্যে বিমানবন্দরের স্বর্ণ-কান্ড ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। 

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, গত ১৫-১৬ মার্চের রাতে ব্যাঙ্কক থেকে আগত রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭টি ব্যাগ তল্লাশির জন্য আটক করে বিমানবন্দরের শুল্ক অফিসারেরা। সেই সময় পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করতে বলে। তারা অফিসারদের গ্রেফতারের ভয় দেখায়। পরে রুজিরাদেবিকে বের করে নিয়ে যায়। রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা। মমতার ভাইয়ের ছেলে অভিষেক এবারেও ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী। অভিযোগ শুনে বিচারপতি সরকারের প্রতিনিধিকে লিখিত আবেদন করতে বলেন। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক অবশ্য আগেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন। ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হোক ঘটনা সত্যি প্রমানিত হলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। ভোটের বাজারে এমন সব অস্বস্তিজনক ঘটনায় জনমানসে কোন প্রভাব পর্বে বলে মনে করেন না তৃনমূল নেতারা। তাঁদের সাফ কথা, নারদ সামনে আসার পরে পরেই বিধানসভা ভোতে গো-হারান হেরেছে বিরোধীরা। তাই এবারেও কিছু হবে না।

এস_খান