• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১১, ২০১৯, ০৮:৩৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১১, ২০১৯, ০৮:০৯ পিএম

কাতার ঘাঁটিতে মার্কিন বি-৫২

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বে ফুঁসছে পারস্য উপসাগর!

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বে ফুঁসছে পারস্য উপসাগর!

বাণিজ্যিক সমঝোতা সৃষ্টির ব্যর্থতার দায়ে দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়ার উত্তাপ ছড়ানোর পর এবার মার্কিন নীতির বিরোধীতায় ইরানের সাথেও পারস্য উপসাগরে সমর সংঘাতের উত্তেজনা বৃদ্ধি করলো যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার (১০ মে) পারস্য উপসাগরে  মার্কিন রণতরীর উপস্থিতির পাশাপাশি ইরানকে হুঁশিয়ার করতে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে চারটি বি-৫২ আধুনিক বোমারু বিমান সংযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এর মধ্যদিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর দেশ ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বৈরথ এখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। 

শনিবার (১১ মে) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর স্ট্রেটিজিক বি-৫২এইচ স্ট্রাটোফোট্রেস বোমারু বিমান অবতরণ করেছে। মার্কিন বিমান বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড এই পরমাণু-বোমারু বিমানের একটি ছবিও প্রকাশ করেছে।

মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিবিএসের বরাত দিয়ে বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইতোমধ্যে চারটি মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান এসে পৌছেছে। অপরদিকে বিমানবাহীর পক্ষ থেকে সমর সজ্জিত ক্যারিয়ার (যুদ্ধ বিমান বহনকারী রণতরী) ও নৌবহর পাঠানো হয়েছে পারস্য উপসাগরে।

বিবিসির বিশ্লেষক জোনাথন মার্কাস বলেন, বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসন কি করতে চায় সেটা পরিষ্কার নয়। তবে এটা স্পট যে, তারা ইরানকে কঠিন একটি বার্তা দিতে চায়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে তারা এই মুহুর্তে কোনো যুদ্ধ চায় না। তবে ইরানের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান বিবাদ অন্য কিছুই নির্দেশ করে। 

এদিকে ইরানে ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাতে মার্কিন উৎসাহ এখন প্রত্যক্ষভাবেই সামনে চলে আসছে বলেও সংবাদে বলা হয়। যার প্রমাণ হিসেবে হোয়াট হাউজ কর্তৃক ইরানের বিপ্লবী গার্ডকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে আখ্যায়িত করাকেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। 

একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের তেল বিক্রির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক- চাপ সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও ধারণা প্রকাশ করা হয়। তবে ওয়াশিংটনের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা মার্কিন সৈন্যদের ওপর আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হরমুয প্রণালী দিয়ে চলাচল করা মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজগুলো ইরানের হামলার লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে, এমন সম্ভাবনার আলোকেই নিজেদের নিরাপত্তা জোরদার করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।  রয়টার্স

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানান, যুক্তরাষ্ট্র বা তার সহযোগীদের ওপর যেকোনো হামলায় ইরানকে ‘বড় শক্তির’ মোকাবিলা করতে হবে। ইরানকে এই পরিষ্কার বার্তা দিতে মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী রণতরী ও বোমারু বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মন গড়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক তৎপরতা সৃষ্টির মাধ্যমে ইরানকে চোখ রাঙানোর চেষ্টা করছে। তবে তাতে ভীত নয় তেহরাণ। পাশাপাশি পারবণিক চুক্তি সংক্রান্ত জাতিসংঘের নির্ধারীত নীতিমালা লঙ্ঘনের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্র জটিলতা সৃষ্টির প্রয়াশ চালাচ্ছে বলে দাবি করে ইরান।
বিশেষজ্ঞদের মতে শীঘ্রই চলমান পরিস্থিতি সামাল না দেয়া গেলে, এ উত্তেজনা কঠিন সংকট সৃষ্টি করবে।
এসকে