বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিজয় দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স লাইব্রেরি।

হাউস অফ কমন্স লাইব্রেরি একটি স্বাধীন গবেষণা এবং তথ্য ইউনিট যা তাদের পার্লামেন্টের সদস্য ও  কর্মীদের নিরপেক্ষ ব্রিফিং দিয়ে থাকে।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল পূর্বের তুলনায় আরও কম ব্যবধানে হবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্তাপ সব সময় উঁচুতে থাকে। এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে তা আরও বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধী দল বিএনপি এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  তাদের দীর্ঘদিনের পূর্বশর্ত ছিল দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তি, তিনি যেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন।  তারা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠারও দাবি করে আসছিল।  যদিও তারা তা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে তবুও কেউ কেউ বলছেন, বিএনপির এবার নির্বাচনে অংশ নেয়ার মানে হলো, পর্যবেক্ষকদের মূল প্রত্যাশার চেয়েও ২০১৮ সালের নির্বাচন বেশি বিশ্বাসযোগ্য হবে।  তবে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হওয়া এখনো অনেক দেরি।

আরও বলা হয়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউ পূর্ণাঙ্গ মিশন না পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মানে হলো, এ নির্বাচন নিয়ে এখনো আন্তর্জাতিক সংশয় রয়েছে। কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠাবে কি না- তা এখনো ঠিক করা হয়নি।

এই ব্রিফিংটি মূলত সাম্প্রতিক উন্নয়ন এবং নির্বাচনের সম্ভাবনা জরিপ নিয়ে করা হয়েছে।  এতে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া কেমন তা-ও পার্লামেন্ট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে।  এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এই মাসের শুরুতে প্রায় এক লাখ মুসলমান রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা শুরু করে।  রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদে যদিও তা করা সম্ভব হয়নি।  বাংলাদেশ বারবার বলছে যে তারা জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন করবে না।  প্রত্যাবাসন শুরু করার আরেকটি প্রচেষ্টা এখন নির্বাচনের পর আগামী বছর করা হবে।

সাইসে/এফসি