• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০১৯, ০১:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৬, ২০১৯, ০১:১৩ পিএম

‘সৌদি যুদ্ধ চায় না তবে ইরান চাইলে ছাড় দেবে না’

‘সৌদি যুদ্ধ চায় না তবে ইরান চাইলে ছাড় দেবে না’

 

ভূমধ্যসাগরের জলে ছড়িয়ে পড়ছে উত্তাপ। ওমান উপসাগরে জাপান ও নরওয়ের দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারে হামলার ঘটনায় এবার প্রকাশ্যেই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের হুশিয়ারি দিলেন সৌদি যুবরাজ বিন সালমান। এ হামলার গঠনায় ইরানকে দোষারোপ করেছে সৌদি আরব। সৌদি যুবরাজ বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না, তবে আমরা ইরানের যেকোনো হামলা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। সৌদি আরব কোনো ধরনের হুমকিতে বিচলিত হবে না।’

রোববার (১৬ জুন) আরব বার্তা সংস্থা গালফ নিউজ প্রকাশিত এক সংবাদে একথা জানান হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দেশটির সৌদি আরবের ‘আশরাক আল-আউসাত’ পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সালমান এ মন্তব্য করেন। সৌদি যুবরাজ আরও বলেন, ‘সম্প্রতি তেহরানে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সফরটিকে ইরান কোনোভাবেই সম্মানের চোখে দেখছে না। মূলত এর ক্ষোভেই তারা ওমান উপসাগরে সেই তেলের ট্যাঙ্কারগুলোতে হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে একটি ছিল জাপানের।’

এ দিকে সৌদি আরব থেকে পাঠানো এই ট্যাঙ্কারগুলোতে হামলার জন্য ইরান ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছে রিয়াদ। যার অংশ হিসেবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ওমান উপসাগরে হরমুজ প্রণালীর পাশে দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারে হামলা চালানো হয়। ট্যাঙ্কার দুটির একটি নরওয়ের মালিকানাধীন ফ্রন্ট অলটেয়ার আর অপরটি জাপানের মালিকানাধীন কোকুকা কারেজিয়াস।

হামলার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা বলে আসছে, এর সঙ্গে ইরান সম্পূর্ণভাবে জড়িত। যদিও জাপানি ট্যাঙ্কারের মালিক বেশ কিছু প্রমাণ দেখিয়ে বলেন, ‘ইরান নয় এর পেছনে অন্য কোনো দেশের হাত রয়েছে।’ আর ইরানি কর্তৃপক্ষের দাবি, হামলায় বিধ্বস্ত ট্যাঙ্কারগুলো থেকে তারা নাবিকসহ মোট ৪৪ জনকে উদ্ধার করেছে।
অপর দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন একটি ভিডিও রয়েছে, যেখানে ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত একটি তেলের ট্যাঙ্কারের একপাশ থেকে একটি অবিস্ফোরিত মাইন সরিয়ে নিতে দেখা যাচ্ছে।' যদিও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ট্রাম্পের কথার সত্যতা কী, আগে সেটা আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে প্রমাণ করতে হবে।’

প্রায় এক মাসের কম সময়ের মধ্যে ওমান উপসাগরে এ নিয়ে মোট ছয়টি ট্যাঙ্কারে চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হলো। মাসখানেক আগে অপর একটি হামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিকটবর্তী অঞ্চলে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও অন্তত চারটি তেলের ট্যাঙ্কার। যদিও সেই হামলার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে এর জন্য দায়ী করেছিল। তবে সে বারও তারা তেহরানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রমাণ উত্থাপন করতে পারেনি।

এসকে/এসজেড