• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৯, ০৮:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৫, ২০১৯, ০৮:২৪ এএম

ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টার সঙ্গে বরিস জনসনের যোগসাজশ!

ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টার সঙ্গে বরিস জনসনের যোগসাজশ!

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক এক সহযোগীর সঙ্গে আলাপচারিতার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ পাওয়ায় ঝামেলায় পরে যেতে পারেন বরিস জনসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কট্টর উগ্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত স্টিভ ব্যাননকে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে হোয়াইট হাউসের প্রধান কৌশল প্রণেতার পদ থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাম্প।

ব্যাননের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের যোগসাজশের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ একটি ‌সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও ফুটেজে এর প্রমাণ দেয়া হয়। যদিও উগ্র ডানপন্থী কোনো দলের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক থাকার অভিযোগটি অনেক আগে থেকেই অস্বীকার করে আসছেন জনসন।

‘দ্য অবজারভার’-এ প্রকাশিত ভিডিওতে স্টিভ ব্যাননের সঙ্গে বরিস জনসনের আলাপচারিতার একটি অংশ দেখানো হয়। যেখানে তারা নিজেদের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন বলে জানানো হয়। প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় স্টিভ ব্যানন বলছিলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের ব্রেক্সিট ইস্যুতে বরিস জনসন যে ভাষণ দিয়েছেন, সেখানে তার ভূমিকা ছিল।

অপর দিকে ‘দ্য ব্রিঙ্ক’ শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণের জন্য ফুটেজটি সংগ্রহ করেছিলেন মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যালিসন ক্ল্যাম্যান। মূলত সে সময়ই থেরেসা মের ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বরিস জনসন। যদিও তখন যুক্তরাজ্যের উগ্র ডানপন্থী নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে ব্রিটেনে অবস্থান করছিলেন ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন।

বিশ্লেষকদের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টিভ ব্যাননকে একজন শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ও দেশটির ডানপন্থি বর্ণবিদ্বেষী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেননা তার বিতর্কিত পত্রিকা ‘ব্রেইটবার্ট’ প্রচলিত বামপন্থি আদর্শ ও মূল রক্ষণশীল ধারাকে অস্বীকারের মাধ্যমে উগ্র ডানপন্থি মতবাদকে প্রচার করে।

সূত্র : রয়টার্স

এসজেড