• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০১৯, ০১:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৯, ২০১৯, ০১:০৪ পিএম

কঙ্গোয় খনি ধসে ৪৩ শ্রমিকের মৃত্যু

কঙ্গোয় খনি ধসে ৪৩ শ্রমিকের মৃত্যু

গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি খনি ধসে অন্তত ৪৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে আছেন বলেও জানা যায়।

শনিবার (২৯ জুন) দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা 'দ্য গার্ডিয়ান' জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অঞ্চলটির কোলওয়েজি এলাকার সেই খনি থেকে অবৈধভাবে কপার ও কোবাল্ট উত্তোলনের সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সুইসভিত্তিক বিখ্যাত খনিজ সম্পদ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানের 'গ্লেনকোর' এক মুখপাত্র জানান, দুর্ঘটনার পরপরই তাদের কর্মীরা নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। যদিও খনির নিচে থাকা বিষাক্ত গ্যাস, স্থান ও আলো স্বল্পতার কারণে বেশিরভাগ শ্রমিকই দমবন্ধ হয়ে মারা যান। এখন পর্যন্ত ৪৩টি মরদেহ উদ্ধার হলেও জীবিত বাকিদের ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

কোলওয়েজি পুলিশের দাবি, বিপদজনক হওয়ায় খনিটি বন্ধ ছিল; যে কারণে স্থানীয়রা অবৈধভাবে সেখান থেকে কপার ও কোবাল্ট উত্তোলনের চেষ্টা করছিল। খনি ধসের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে তদন্তে নেমেছে। 

প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, বৃহস্পতিবার অবৈধভাবে খনির সম্পদ উত্তোলনের সময় আচমকাই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে এর প্রবেশমুখ। মূলত এতেই ভেতরে চাপা পড়েন প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক।

কঙ্গো বিশ্বব্যাপী ৬০ শতাংশের বেশি কোবল্ট সরবরাহ করে, যা ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরির এক গুরুত্বপূর্ণ ধাতু। যদিও গত বছর কোনো ধরনের নিরাপদ ব্যবস্থা ছাড়াই প্রায় ৩০ শতাংশ কোবাল্ট উত্তোলন করা হয়। অবৈধভাবে এই উত্তোলন কাজ চালানোর ফলে কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ সম্পদটি সংগ্রহের প্রস্তাব ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার নাকচ করে দিয়েছে।

এসকে