• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০১৯, ০২:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৪, ২০১৯, ০২:৪১ পিএম

ওবামা বিদ্বেষ থেকেই ট্রাম্পের ইরানবিরোধী পদক্ষেপ

ওবামা বিদ্বেষ থেকেই ট্রাম্পের ইরানবিরোধী পদক্ষেপ

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি বিদ্বেষ থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি এক নথিতে এমনটাই দাবি করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত ব্রিটেনের সাবেক রাষ্ট্রদূত স্যার কিম ড্যারখ।

ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা ‌স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সতর্কতা সত্ত্বেও রোববার (১৪ জুলাই) নতুন এই নথিটি প্রকাশ করে দেশটির গণমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’। যেখানে দাবি করা হয়, ২০১৮ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাম্প প্রশাসনকে ছয় জাতীর পারমাণবিক চুক্তিটি বহাল রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যদিও হোয়াইট হাউস তখন তা মানতে অস্বীকৃতি জানালে কিম ড্যারখ ফাঁস হওয়া এই নথিটি লিখেছিলেন। যেখানে তিনি ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে একটি কূটনৈতিক বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।

এর আগে ২০১৫ সালের জুন মাসে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল নিরাপত্তা পরিষদের দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান)। চুক্তি অনুযায়ী, নিজেদের ইউরেনিয়াম মজুদের কার্যক্রম সীমিত রেখে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তেহরান। যদিও ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে একটি ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ বলে আখ্যায়িত করে গত বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যার প্রেক্ষিতে তেহরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে মার্কিন প্রশাসন।

২০১৮ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরে আসার পর রাষ্ট্রদূত স্যার কিম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পারমাণবিক চুক্তি ইস্যুতে নথিটি লিখেন। ব্রিটিশ দূত তার নথিতে বলেন, চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কী করা হবে তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার উপদেষ্টাদের এবং হোয়াইট হাউস প্রতিদিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ দিকে প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে কিম ড্যারোখের প্রথম নথিটি জনসম্মুখে আনা হয়। যেখানে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনকে ‘অদ্ভুত এবং নিষ্ক্রিয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

অপর দিকে এই গোপন নথি ফাঁসের জেরে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। যার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে ১০ জুলাই আচমকা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন কিম ড্যারোখ। যদিও পরবর্তীতে ফাঁস হওয়া কূটনৈতিক নথি প্রকাশের বিষয়ে ‘ডেইলি মেইল'কে সতর্ক করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। তবে এর পরও গণমাধ্যমটি নথিটিকে জনসম্মুখে নিয়ে এলো।

সূত্র : বিবিসি

এসজেড

আরও পড়ুন