• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০৫:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ০৫:৩৬ পিএম

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার বৈঠক

ট্যাংকার না ছাড়লে পরিণতি কঠোর হবে : জেরেমি হান্ট

ট্যাংকার না ছাড়লে পরিণতি কঠোর হবে : জেরেমি হান্ট

 

পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালিতে ২৩ ক্রুসহ ব্রিটিশ পতাকাবাহী একটি তেল ট্যাংকার আটক করেছে ইরান। শুক্রবার (১৯ জুলাই) ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) করা এই ট্যাংকার আটকের ঘটনায় এরই মধ্যে নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। তিনি বলেন, ‌‘অবিলম্বে ট্যাংকারটি না ছাড়লে ইরানকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

যদিও তেহরানের দাবি, হরমুজ প্রণালীতে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার আইন লঙ্ঘন করায় 'স্টেনা ইমপেরো' নামে ব্রিটেনের এই তেল ট্যাংকারটিকে আটক করা হয়। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতেই এক জরুরি বৈঠকে বসেছিল ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট এক বিবৃতিতে তেহরানকে সতর্ক করে বলেছেন, “ইরান ব্রিটিশ তেল ট্যাংকার ছেড়ে না দিলে তাদের অবশ্যই ‘কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।”

একই সঙ্গে তিনি এখনই কোনো সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘লন্ডন তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করছে।’ তেল ট্যাংকারটিতে ২৩ জন ক্রু থাকলেও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘তাদের মধ্যে একজনও ব্রিটেনের নাগরিক নেই।’

এর আগে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ‘আইআরজিসি’র জনসংযোগ দপ্তর শুক্রবার রাতে একটি বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়, ‘ইরানের হরমুজ প্রণালীর বন্দর ও সামুদ্রিক যান চলাচল বিষয়ক সংস্থার অনুরোধে ‘স্টেনা ইমপেরো’ নামে একটি ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারকে আটক করা হয়। ট্যাংকারটি বর্তমানে বাহিনীর হেফাজতে আছে এবং এর সকল ক্রু নিরাপদে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের প্রতি ট্যাংকারটি সম্মান দেখায়নি; যে কারণে হরমুজ প্রণালীতে কর্মরত ইরানের ওই সংস্থা তেল ট্যাংকারটি আটকের জন্য 'আইআরজিসি'র কাছে অনুরোধ জানায়।’

আইআরজিসি জানায়, ট্যাংকারটি মোট তিনটি আইন লঙ্ঘন করেছে। প্রথমত এটি আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ইরানের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল, নিজেকে শনাক্তকরণ সকল যন্ত্রপাতি বন্ধ রেখেছিল এবং আইআরজিসি’র পক্ষ থেকে বারংবার সতর্ক করার পরও জাহাজটি তাতে কর্ণপাত করেনি।

এ দিকে ইরানের হাতে আটক জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাপনা দল এরই মধ্যে একটি বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়, ‘আমরা বর্তমানে জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছি। যদিও প্রতিবারই আমরা তা করতে ব্যর্থ হয়েছি।’

অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, “ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেলের ট্যাংকার ‘স্টেনা ইমপেরো’কে আটক করা হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি তেহরান এই কাজটি করেছে। আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় জলযান চলাচলে ইরানের একের পর এক বৈরী আচরণের সাম্প্রতিক নমুনাগুলোর মধ্যে এটিও একটি।”

যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে তেল ট্যাংকার আটক ইস্যুতে নিন্দা জানিয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “ব্রিটেনের তেলবাহী ট্যাংকার আটকের ঘটনা ও সকল সঙ্কট নিরসনে আমি খুব শিগগিরই ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই।”

সূত্র : বিবিসি

এসজেড

আরও পড়ুন