সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার জেরে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করল পাকিস্তান। জম্মু কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপের কারণে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করাসহ মোট পাঁচটি পদক্ষেপ করেছে তারা। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বহর কমিয়ে দেয়া হবে বলেও সরকারিভাবে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। বন্ধ করে দেবে পাক-ভারত দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক বাণিজ্য। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করে পুনর্বিন্যাস করা হবে।

ভারতের সিদ্ধান্ত 'বেআইনি' দাবি করে মঙ্গলবার পাক সংসদে কড়া বক্তব্য পেশ করেন ইমরান খান। এরপর বুধবার (৭ আগস্ট) একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকেই ইসালামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। যদিও সরকারিভাবে সে কথা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে, একাধিক সংবাদ মাধ্যমে এই দাবি করা হয়েছে। বৈঠকের পর মূলত পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাঁচটি পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে,

১. ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করা

২. ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধ করা

৩. দ্বিপাক্ষিক চু্ক্তি পুনর্বিবেচনা করা

৪. বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদসহ রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হওয়া

৫. ১৪ অগস্ট দিনটিকে বীর কাশ্মীরীদের প্রতি সহমর্মিতা জানানো হবে”

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি বিবৃতি বলা হয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, শীর্ষ আমলা ও সেনা আধিকারিকরা। সংসদে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, কাশ্মীর নিয়ে পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, এর “প্রভাব গুরুতর” হবে। অপরদিকে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বলেন, “তারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কিছু করতে পারে... আমরা প্রত্যুত্তর দেব... শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমরা লড়াই করব”।

চীনের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে ভারতের তরফে বলা হয়েছে, “এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়”। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত হ্স্তক্ষেপ করে না এবং অন্যদেশের থেকেও তেমনই আচরণ আশা করে”।

সূত্র : এনডিটিভি

এসজেড