• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০২:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০২:০৮ পিএম

ব্রেক্সিট বিতর্কে বিপর্যস্ত বরিস

কমন্সের পর লর্ডসেও আটকে গেল চুক্তিহীন ব্রেক্সিট 

কমন্সের পর লর্ডসেও আটকে গেল চুক্তিহীন ব্রেক্সিট 
ব্রিটেনের অ্যাবানডেনশায়ারে একটি ফার্ম পরিদর্শনকালে ‍‍`যে কোনো পরিস্থিতি বাগে আনার‍‍` দক্ষতার কথা বলেছিলেন বরিস। কিন্তু ব্রেক্সিট ইস্যুতে কি তা প্রমাণ করতে পারছেন তিনি?- ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের পর এবার উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসেও আটকে গেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ ইস্যুতে করা 'চুক্তিহীন ব্রেক্সিট'।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা বিবিসি নিউজ প্রকাশিত এক সংবাদে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) হাউস অব কমন্সে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপন করেন ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী সদস্যরাও। পরে নিম্নকক্ষে উত্থাপিত ব্রেক্সিট বিরোধী প্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে পাস করানো হয়।

পরে গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রস্তাবটি নিয়ে যাওয়া হয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসে। আর পরবর্তীতে সেখানে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় আপাততভাবে আটকে গেছে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট।
 
এ দিকে কনজারভেটিভ দলের বিদ্রোহী ২১ আইনপ্রণেতাসহ বিরোধীদের ভোটে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নাকচ হওয়ার পর হাউস অব কমন্সে আগামী ১৫ অক্টোবর ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব তুলেছিলেন জনসন। যদিও পরবর্তীতে সেই প্রস্তাবটিও নাকচ করে দেন বিরোধী দল এবং কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী সদস্যরা।

অপর দিকে বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে ব্রেক্সিট পেছাতে হলে ইইউর কাছে যুক্তরাজ্যকে একটি আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে হবে। অন্যথায় পূর্ব নির্ধারিত আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই বিচ্ছেদটি ঘটে যাবে। তবে প্রধানমন্ত্রী বরিসও চান, চুক্তি ছাড়াই এই বিচ্ছেদটি ঘটানো হোক। কিন্তু এবার পার্লামেন্টের বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একাধিক আইনপ্রণেতা এই চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটটি আটকাতে মরিয়া।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরিস বলেছিলেন, '১৫ অক্টোবর আগাম নির্বাচন কিংবা ৩১ অক্টোবর প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করা না গেলে আমিও পদত্যাগ করতে পারি।' বর্তমানে মূলত এসব বিষয় নিয়েই এক রকম দ্বন্দ্বে রয়েছে বরিসের দল। যার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন তার ছোট ভাই জো জনসন।'

যদিও লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন মনে করেন, 'প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কখনোই জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি কেবলই নিজ দলের সদস্যের ভোটে নির্বাচিত; তাই তাকে কোনোদিন গণতন্ত্রের পক্ষের লোক বলে বিবেচনা করা যাবে না।'

এসকে

আরও পড়ুন