• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ১২:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ১২:১৪ পিএম

ম্যান্ডেলার দেশে অভিবাসী-বিদ্বেষী হামলা, ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিরা

ম্যান্ডেলার দেশে অভিবাসী-বিদ্বেষী হামলা,  ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিরা

দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসী বিদ্বেষী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। দোকানপাটে হামলা-অগ্নিসংযোগের পরও ক্ষান্ত হচ্ছে না গ্যাংগুলো। দিচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। এ অবস্থায় ফোর্ডসবার্গ, কার্নিভাল সিটি ও বক্সবার্গের তিনটি সেফ হোমে আশ্রয় নিয়েছেন, অন্তত ১২০ জন।

বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর সাথে আলাপকালে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। দ্রুত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা চেয়েছেন তারা।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোর জানায়, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে ১০ দিন ধরেই অভিবাসী বিদ্বেষী তাণ্ডবের শিকার বা্ংলাদেশিসহ বিদেশি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা।

রাজধানী প্রিটোরিয়া থেকে শুরু হয়ে তাণ্ডব ছড়িয়ে পড়েছে জোহানেসবার্গের অলিগলিতে। ভয়াবহ পরিস্থিতি মার্লবানের জুলিস অ্যাস্টেটে। কেবল এখানেই অন্তত ২০০ দোকান এবং ১০০ গাড়ি পুড়িয়ে দেয় অভিবাসন বিদ্বেষীরা। হামলা ও লুটপাটের শিকার হন ৫০০ বেশি বাংলাদেশিসহ অনেক অভিবাসী। থমথমে অবস্থা জোহানেসবার্গ শহরের স্মল অ্যাস্টেট, এমটিএন ট্যাক্সি র‍্যাংগস, পস্তুরাজসহ অনেক এলাকায়।  

এখন পর্যন্ত যেসব শহরে হামলা হয়েছে সেগুলো হলো- মার্লবান, পস্তরাজ, টারফন্টেইন, জুলিস স্ট্রিট, আলেকজান্ডার, টকোজা, প্রিমরোজ, নিউল্যান্ডস, প্রিটোরিয়া সিবিডি, ব্রামফিশার, পামব্রিজ, বেনোনীও রেন্ডপন্টিং।

অভিবাসী বিদ্বেষী হামলায় নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছেন, কমিউনিটি নেতারা। ফোর্ডসবার্গ, কার্ণিভাল সিটি ও বক্সবার্গ এলাকার ৩ টি সেফ হোমে অস্থায়ীভাবে ঠাই নিয়েছেন অন্তত ১২০ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী।

চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে তারা জানান, দোকান ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পরও ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না অভিবাসী বিদ্বেষীরা।

দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জাকির হোসাইন বলছেন, গেলো কয়েকদিনে হাজার খানেক দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ৩০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে তাদের।

হামলাকারীদের দাবি, বিদেশিদের কারণে তারা আজ কর্মহীন।

হামলাকারীদের গ্যাং লিডার গাদ্দাফি বলেন, জোহানেসবার্গের প্রতিটি কর্ণারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিদেশিরা। আমরা কাজ পাচ্ছি না, খাবার নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকি, আর তারা অন্য দেশ থেকে এসে অর্থবিত্ত গড়ছে।    

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেশটির পুলিশ।

পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র লিওনার্ড হেলাথি বলেন, স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান বিশৃঙ্খলা থামান। যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংঘাত সৃষ্টিকারীদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।

সরকারি হিসেবে, দক্ষিণ আফ্রিকায় সাড়ে ৩ লাখ বাংলাদেশিসহ অন্তত ২০ লাখের বেশি অভিবাসীর বাস। উন্নত জীবনের আশায় যাদের অনেকেই নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে এসেছেন।

অস্থিরতা নিরসনে, উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটানো প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এসএমএম