• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৪:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯, ০৪:৪১ পিএম

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা

৩০ বছর পর লালু আলম বেকসুর খালাস

৩০ বছর পর লালু আলম বেকসুর খালাস
তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান এবং তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- ফাইল ফটো

প্রায় তিন দশক আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান এবং তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেস নেত্রী- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলার দায়ে অভিযুক্ত আসামি লালু আলমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে দেশটির  আদালত

১৬ আগস্ট, ১৯৯০. হামলায় আহত তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস  

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে,  বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উপর হামলা চালানোর ঘটনায় সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান আলম। আলিপুর আদালতের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক পুষ্পল সতপথি এই রায় দেন।

সূত্রের তথ্য মতে, এইদিন অভিযুক্ত লালু আলমের আইনজীবী আবেদন করেন, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি আদালত। এই তিন দশকে মারা গিয়েছেন বহু সাক্ষী। এমন পরিস্থিতিতে এই মামলা বন্ধ করে দেওয়া হোক। আইনজীবীদের কথা শুনে আদালত মনে করে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে লালুকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া যেতে পারে।

১৯৯০ সালের সেই হামলার একটি দৃশ্য-ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এর আগে গত মাসে এ মামলায় সাক্ষ্য প্রদানের জন্য মমতাকে ডাক পাঠায় আদালত। কিন্তু ব্যস্ততা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জেরার সম্মুখীন হতে পারেননি মমতা। অন্যদিকে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থাও করা যায়নি বলে জানান সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায়।

১৯৯০ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন কংগ্রেসের যুব নেত্রী মমতার উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দুষ্কৃতীকারীরা। মাথায় গুরুতর চোট পান মমতা। বেশ কিছুদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল।

সেই সময় রাজ্যের বামপন্থী রাজনৈতিক দল 'সিপি (আই) এম' নেতা বাদশাহ আলমের ভাই লালু আলমকে এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসকে
 

আরও পড়ুন