জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপসাগরীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করবে ইরান। সম্প্রতি সৌদি আরবের তেল অবকাঠামোয় হামলার ঘটনার জেরে নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই পরিস্থিতির মাঝে অঞ্চলটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এমন প্রস্তাব উপস্থাপন করতে যাচ্ছে ইরান। এমনটাই জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, সৌদির তেল অবকাঠামোতে এই হামলার সঙ্গে ইরানের সম্পৃক্ততা রয়েছে, এমন দাবি করে সৌদি আরবকে সহযোগিতা করতে এবং ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে এক বিবৃতিতে বিষয়টিকে এ অঞ্চলের দু'টি বড় তেল সমৃদ্ধ প্রতিবেশি রাষ্ট্র সৌদি ও ইরানের মাঝে বৈরিতা সৃষ্টিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অশুভ প্রচেষ্টা বলে দাবি করেছেন ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি। পাশাপাশি সৌদি আরবকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দিয়ে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে বিদেশী শক্তিকে দূরে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন রুহানি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মুহুর্তে আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের বলছি আমরা তাদের কাছে বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়িয়ে দেব। বিদেশী শক্তি আমাদের জনগণ এবং আমাদের অঞ্চলের জন্য সমস্যা ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করতে পারে। তাই আমরাই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন,যদি তারা আন্তরিক হয়, তবে এই অঞ্চলটিকে একটি অস্ত্র প্রতিযোগিতার স্থান হিসাবে গড়ে তোলা তাদের উচিত নয়। আপনাদের উপস্থিতি এই অঞ্চলের জন্য সর্বদা বেদনাদায়ক ও দুর্দশা এনেছে। আপনারা আমাদের অঞ্চল এবং আমাদের দেশ থেকে যত দূরে নিজেকে রাখবেন আমাদের অঞ্চলের নিরাপত্তা ততই বেশি হবে।
এ সময় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের কাছে একটি আঞ্চলিক শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাবের কথাও ঘোষণা করেন ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা।
এসকে