• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০১৮, ১১:৪৩ এএম

সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প

সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে তার দেশের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ায় মার্কিন সেনা পাঠানোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের উপস্থিতি যে গোষ্ঠী এরইমধ্যে পরাজিত হয়েছে। তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনকে ‘অবিলম্বে’ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন।

অবশ্য পেন্টাগনের কর্মকর্তারা ট্রাম্পকে একথা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প যাতে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ না দেন; কারণে এর ফলে সিরিয়ায় তাদের ভাষায় ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে যাবে।

সিরিয়ায় দায়েশ বিরোধী কথিত যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য দামেস্কের অনুমতি ছাড়াই দেশটির উত্তরাঞ্চলে প্রায় দুই হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল আমেরিকা। তবে দায়েশ নির্মূল হয়েছে ইরান ও রাশিয়ার সহযোগিতায় সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযানে। মার্কিন সেনাদের এ কাজে তেমন ভূমিকা ছিল না। তারা মূলত এসডিএফ (সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোস) এর সহায়ক শক্তি হিসেবেই কাজ করেছে।  

এ ছাড়া, দায়েশ বিরোধী যুদ্ধ বিষয়ক মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি ব্রেট ম্যাকগভার্ন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, “দায়েশ কখনো নির্মূল হয়ে যাবে না। কাজেই সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য আমাদেরকে সেখানে সেনা মোতায়েন করে রাখতে হবে।”

কিন্তু সে পরিকল্পনা বাতিল করে শেষ পর্যন্ত সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এদিকে ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত তার নিজ দেশেই ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সিনিয়র রিপাবলিকান নেতা ও বিদেশি ঘনিষ্ঠ মিত্ররা ট্রাম্পের দাবির বিরোধিতা করে বলেছে, এই পদক্ষেপ আইএসকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।

ট্রাম্পের সমর্থকদের একজন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মতো বড় ধরনের ভুল বলে অভিহিত করেছেন। অপরদিকে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হয়েছে বলে ট্রাম্পের আশ্বাসের বিরোধীতা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

সিরিয়ায় সেনা পাঠানোর পর মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, দেশটি দায়েশকে উৎখাত করতে কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এখনো সেখানে কিছু জঙ্গি লুকিয়ে আছে। দেশটিতে জঙ্গিগোষ্ঠী যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা।

যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা দেশটিতে আইএস এর পুনরুত্থান না ঘটার বিষয়টি নিশ্চিত করতে এখনো সেখানে থাকার পক্ষপাতি বলেই ধারণা করা হয়। তবে ট্রাম্প জোরালোভাবে তা নাকচ করে দিয়েছেন।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেনা প্রত্যাহারের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে ২০১৯ সালের মধ্য জানুয়ারি নাগাদ মার্কিন বাহিনীকে সিরিয়া থেকে ফেরানো হবে।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা

এসজেড