• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯, ০২:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯, ০২:৪৯ পিএম

নানা দেশে বড়দিনের উৎসব, রয়েছে নিষেধাজ্ঞাও

নানা দেশে বড়দিনের উৎসব, রয়েছে নিষেধাজ্ঞাও

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ। এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। দিনটি তাই খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ ধর্মের অনুসারীরা ব্যাপক উৎসাহ ও নানা আয়োজনে উৎসবটি পালন করছেন।

...............

নানা উৎসাহ -উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিনটি উদযাপন করা হলেও ব্রুনাই, সৌদি আরব, সোমালিয়া ও উত্তর কোরিয়ায় এ দিনটি পালনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশগুলোতে কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্রিসমাস উদযাপন করলে তার বিরুদ্ধে কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রয়েছে।

...............

২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। খ্রীস্টান ধর্মে বিশ্বাসীদের জন্য এটি খুব অর্থবহ একটি দিন। ২০০০ খ্রীষ্টপূর্বে যিহূদিয়ার বেথলেহেম নামক এক শহরে এই দিনে মা মেরীর কোলে যীশু খ্রীস্টের জন্ম হয়। তাই প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর জাকজমকপূর্ণ উৎসবের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা এ দিন উদযাপন করেন।। একে অপরকে উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তবে নানা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিনটি উদযাপন করা হলেও ব্রুনাই, সৌদি আরব, সোমালিয়া ও উত্তর কোরিয়ায় এ দিনটি পালনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশগুলোতে কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্রিসমাস উদযাপন করলে তার বিরুদ্ধে কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থায় প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে এমনটাই জানা গেছে।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম টেলিগ্রাফের এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে রক্ষণশীল মুসলিম প্রধান দেশ ব্রুনাইয়ে বড়দিন পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। দেশটির সুলতান হাসানাল বোলকিয়াহ এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, কেউ এদিন ক্রিসমাসের কোনো ধরনের সাজসজ্জা, বিশেষ করে সান্তা ক্লজের টুপি অথবা ক্রিসমাসের শুভেচ্ছাসহ ব্যানার প্রদর্শন করতে পারবে না। অবৈধভাবে কেউ বড়দিন উদযাপন করলে তাকে ২০ হাজার ডলার জরিমানা অথবা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডই ভোগ করতে হবে।

বড় আকারে এবং উন্মুক্ত পরিসরে এ ধরনের উৎসবে দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠী বিপথে যেতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ অন্য কেউ পালন করতে চাইলে তা ব্যক্তিগত পরিসরের মধ্যে করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বহুকাল ধরেই ইসলাম ছাড়া আর অন্য কোনো ধর্মীয় উৎসব পালন করতে দেয়া হয় না। ২০১৩ সালে দেশটিতে বড়দিন উদযাপন করার অপরাধে প্রায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০১৭ সালে হ্যালোউইন পার্টি করার অপরাধে ১৭ জন ফিলিপাইন নাগরিককে গ্রেপ্তার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ইরনা

মুসলিম প্রধান দেশ সোমালিয়াতেও ধর্মীয় বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় বড়দিন উদযাপন করতে দেয়া হয় না। এছাড়া উত্তর কোরিয়াতে এদিন কোনো ছুটি দেয়া হয় না। দেশটিতে শুধুমাত্র তাদের রাষ্ট্রনায়কের জন্মদিনেই ছুটি দেয়া হয় এবং বড় পরিসরে উৎসব পালন করা হয়।

এসকে

আরও পড়ুন