• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৩:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৩:২০ পিএম

চলে গেলেন বড় মনের ক্ষুদ্র মানুষটি

চলে গেলেন বড় মনের ক্ষুদ্র মানুষটি
সঙ্গীতের প্রতি বিশেষ অনুরাগ ছিল খগেন্দ্র থাপার- ছবি: সংগৃহিত

২০১০ সালে বিশ্বের সবথেকে খর্বকায় মানুষ হিসেবে গিনেস বুকে নাম উঠেছিল তার। নেপালের সেই খগেন্দ্র থাপা মগর মাত্র ২৭ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কিন্তু শারীরিক সেই সীমাবদ্ধতাকে জীবন বাঁচার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে দেননি বড় মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত থাপা। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে নেপালের পোখরা শহরের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন খগেন্দ্র। পোখরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। খগেন্দ্রর মৃত্যুর পর খগেন্দ্র থাপা মগর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিনবাহাদুর রাণা একথা সবাইকে জানান।

মাত্র ৬৭ সেন্টিমিটার লম্বা ছিলেন খগেন্দ্র। তাঁর ওজন ছিল মাত্র ৬ কেজি। ২০১০ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটি তাঁকে বিশ্বের সবথেকে খর্বকায় ব্যক্তির স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু পরের বছরই এই স্বীকৃতি খগেন্দ্রর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন ফিলিপিনসের জুনরে বালাওইং। তাঁর উচ্চতা ছিল ৫৯.৯৩ সেন্টিমিটার ও ওজন মাত্র ৫ কেজি।

১৯৯২ সালের ১৪ অক্টোবর পোখরাতেই জন্ম হয় খগেন্দ্রর। তাঁর উচ্চতার জন্য ছোটবেলায় তাঁকে অনেক কটাক্ষ শুনতে হলেও গিনেস রেকর্ডের পর থেকে তিনি  বিখ্যাত হয়ে যান। তাঁর নামে একটা ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়। পরের বছর জুনরে গিনেস রেকর্ড খগেন্দ্রর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলেও নেপালে তাঁর খ্যাতি কমেনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে নিমন্ত্রণ আসত তার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য।

খগেন্দ্রর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁর অনেক অনুরাগী। দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে নেপাল সরকারের তরফ থেকেও।
এসকে