• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২০, ১২:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৯, ২০২০, ১২:৪৮ পিএম

‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি’ পরিকল্পনা প্রত্যাখান ফিলিস্তিনের

‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি’ পরিকল্পনা প্রত্যাখান ফিলিস্তিনের
বাঁ থেকে- ফিলিস্তিন্রে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প : দ্য ইনপ্লেস

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা চুক্তির চূড়ান্ত  প্রস্তাবনা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সঙ্গে এই প্রস্তাবনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। রয়টার্স

ট্রাম্পের এই পরিকল্পয়া প্রস্তাবনায় পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে এই পরিকল্পনাকে মধ্যপ্রাচ্যের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস। খবর বিবিসি

ফিলিস্তিনের একটি স্থানীয় টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, আমি ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুকে বলেছি- জেরুজালেম এবং আমাদের সমস্ত অধিকার বিক্রয়ের জন্য নয়। এই ষড়যন্ত্র চুক্তিটি পাস হবে না।

আব্বাস তার ভাষণে আরও বলেন, জেরুজালেম ব্যতীত কোনো প্যালেস্টিনিয়ান, আরব, মুসলিম বা খ্রিস্টানদের পক্ষে এটি গ্রহণ করা অসম্ভব।

কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিনিময়ে চার বছরের জন্য ইসরায়েল দখলকৃত এলাকার সম্প্রসারণ বন্ধ রাখবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েল একটি ধারণামূলক মানচিত্র প্রকাশ করতে রাজি হয়েছে। শান্তি স্থাপনের জন্য নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে সম্মতও হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল অনেক করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে একটি যৌথ কমিটি গঠন করব ধারণামূলক মানচিত্রের আরও বিস্তারিত ও নির্দিষ্ট করতে। যাতে করে দ্রুতই স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হয়। ওই মানচিত্রে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দ্বিগুণ হবে এবং পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনের রাজধানী থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্র গর্বের সঙ্গে সেখানে দূতাবাস চালু করবে।

একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ে ফিলিস্তিনের যে দীর্ঘদিনের লড়াই, সে পথে এই পরিকল্পনা বেশ বড়সড় বাধা হয়েই সামনে এসেছে।

এসকে