• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০, ০৮:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০, ০৮:৪১ পিএম

বাতাসে সালফার যৌগের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি 

তবে কি চীনে চিতা জ্বলছে!

তবে কি চীনে চিতা জ্বলছে!
উহান শহরের স্যাটেলাইট ইমেজ ● ইন্টারনেট

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি

.............

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার নিচ্ছে  প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে মৃতেরও সংখ্যা। 

সর্বশেষ তথ্যমতে, ভয়াবহ এই ভাইরাসের সংক্রমণে উৎসস্থল চীনে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থা।

তবে দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে নিহত ও আক্রান্তদের সংখ্যা সম্পর্কে সরকারি পর্যায় থেকে ‘সঠিক’ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কড়া ভাষায় প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়েছে। 

প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হয়, করোনাভাইরাসে চীনে যে পরিমাণ মানুষ মারা যাচ্ছে তার প্রকৃত তথ্য বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে না। যে পরিসংখ্যান বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হয়েছে তার চেয়ে করোনার আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক অনেক বেশি। অভিযোগ বা গুঞ্জন উঠেছে বেশিরভাগ মরদেহ গোপনে পুড়ে ফেলা হচ্ছে।

তবে করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ লুকিয়ে চুরিয়ে পুড়ে ফেলার অভিযোগকে অবাস্তব ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীনা সরকার।

সম্প্রতি চীনের বাতাসে অস্বাভাবিক মাত্রার সালফার যৌগের (সালফার-ডাই-অক্সাইড) ব্যাপক উপস্থিতিতে নতুন করে বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে।বিশেষ করে করোনার উৎসস্থল চীনের উহান শহর ও এর সংলগ্ন এলাকার বাতাসে উচ্চমাত্রার সালফার-ডাই-অক্সাইডের ব্যাপক উপস্থিতি ক্রমেই যেন সেই মরদেহ পোড়ানোর অভিযোগ বা গুঞ্জনকেই সত্য বলে প্রমাণ করতে চলেছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নরওয়ে সংবাদমাধ্যম সিসিএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, সম্প্রতি দেশটির স্যাটেলাইট সূত্র থেকে প্রাপ্ত বেশ কয়েকটি গ্রাফিক্যাল ইমেজে চীনের উহান ও এর সংলগ্ন এলাকার মানচিত্রের ছবিতে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি স্থানে উচ্চমাত্রার এই সালফিউরিক অ্যাসিডের ব্যাপক উপস্থিতির বিষয়টি নজরে আসে বিশেষজ্ঞদের। শুধু তাই নয়, তাদের মতে অঞ্চলটিতে এই সালফার-ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া কোয়ারেন্টিনের অধীনে থাকা চোংকিং শহরেও উচ্চমাত্রার সালফার-ডাই-অক্সাইডের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।

জৈব রসায়ন গবেষক ও জলবায়ু বিজ্ঞানীদের গবেষণাভিত্তিক এক তথ্যে জানা যায়, সচরাচর মেডিকেল বর্জ্য বা মানুষের মৃতদেহ পোড়ানোর ফলে এই সালফার ডাই-অক্সাইড উৎপাদিত হয়। 

দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দাবি, চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের মরদেহ যথাসম্ভব দ্রুতসময়ের মধ্যেই ভস্মীভূত করতে হবে। নয়তো এখান থেকে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কোনও সত্য গোপন করা হচ্ছে না। 

দেশটির একাধিক গণমাধ্যমের দাবি, যে পরিমাণ মরহেদ পোড়ানো হচ্ছে বলে দেখানো বা জানানো হচ্ছে। আসলে পরিমাণটা তারচেয়ে অনেক অনেক বেশি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিষয়টি বেশ জটিল আকার ধারণ করতে যাচ্ছে বলেই শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সুনিশ্চিতভাবে বিষয়টি সম্পর্কে না জেনে এখনই কিছু বলতে নারাজ তারা।

এসকে/এসএমএম

আরও পড়ুন