পুরো পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে আসছেন সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে। সব কিছু চূড়ান্ত। তার একদিন আগে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবার আহমেদাবাদে বৈঠকে বসে ট্রাম্প নাগরিক অভিনন্দন সমিতি। তাদের দাবি, এই সমিতিই নাকি আসলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্পকে। তাদের হাত দিয়েই নাকি একশো কোটি টাকার বেশি খরচ হচ্ছে ট্রাম্পের সফরের জন্য। অথচ প্রথম বার বৈঠক হলো এবং তা তড়িঘড়ি শেষও হয়ে গেলো। সদস্যরা জানেন না, তাদের কী করণীয়।
এমন অদ্ভুতুড়ে বিষয় নিয়েই টুইটে খোঁচা দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।বললেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে ১০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু যে সমিতির মাধ্যমে এই টাকা খরচ হচ্ছে, তার সদস্যরা গতকাল পর্যন্তও জানতেন না তারা সদস্য। দেশের জানার কি অধিকার নেই, কোন মন্ত্রক এই সমিতিকে কত টাকা দিচ্ছে? সমিতির আড়ালে সরকার লুকোচ্ছে কেন?
পাল্টা বিজেপির সম্বিত পাত্র বলেন, উনি কী করে জানলেন, কত খরচ হচ্ছে? উনি কি বিশ্বের সব থেকে বড় স্টেডিয়ামের খরচটাও এর মধ্যে জুড়ে নিয়েছেন? এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুধু ভারতে আসার জন্য সফরে বেরোচ্ছেন। বিশ্বে ভারতের মান বাড়ছে। চার দিকে খুশির হাওয়া বইলে কংগ্রেস কেন এত অখুশি হয়?
আহমেদাবাদ জুড়ে নরেন্দ্র মোদী-ট্রাম্পের সফর ঘিরে যে পোস্টার পড়েছে, তাতে কোথাও হঠাৎ গজিয়ে ওঠা এই ‘অভিনন্দন সমিতি’র উল্লেখ নেই। গতকালই আহমেদাবাদের মেয়র বিজয় পটেল টুইটে ঘোষণা করেন, তিনিই এই সমিতির প্রধান। তারপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখেন। হাসমুখ পটেল, কিরিট সোলাঙ্কির মতো সাংসদ-সহ পাঁচ জন সদস্যও আছেন এই সমিতিতে। অন্য সদস্যদের প্রশ্ন করলে তারাই বরং উল্টে জানতে চান, তাদের ভূমিকা কী? এই সমিতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা যে খরচ হচ্ছে, সে ব্যাপারেও জানেন না তারা।
রোববার সংবাদমাধ্যমকে ডেকে এই সমিতির বৈঠক হয়। কিন্তু তেমন কোনও তথ্য না থাকায় তড়িঘড়ি তা শেষও হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হওয়ায় দিল্লিতে ট্রাম্পের সফর নিয়ে পুরোদস্তুর একটি সাংবাদিক বৈঠক করে ফেলল বিজেপি। ট্রাম্প ভারতের মাটিতে পা রাখার আগেই কার্যত সফর ‘সফল’ বলে ঘোষণাও করে ফেলল নরেন্দ্র মোদীর দল।আগাগোড়া কংগ্রেসকে নিশানা করে দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টই অনেক বার প্রশ্ন তুলেছেন, ৭০ বছরে আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক এগোয়নি। কংগ্রেস এর জন্য দায়ী নয়? দশ জনপথ কখনও মনমোহন সিংহকে সম্পর্ক ভাল করার অনুমতিও দেয়নি। অথচ নরেন্দ্র মোদীর জমানায় সব সফল হচ্ছে। খোদ ট্রাম্পই বলেছেন, মোদী ভাল দর কষাকষি করতে পারেন। ফলে দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই এবারেও সাফল্য আসছে। আনন্দাবাজার পত্রিকা।
এসএমএম