• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২০, ০৬:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৪, ২০২০, ০৬:৫২ পিএম

উহানে ‘লকডাউন’ উঠে যাচ্ছে ৮ এপ্রিল

উহানে ‘লকডাউন’ উঠে যাচ্ছে ৮ এপ্রিল
উহানের এক গাড়ি নির্মাণ কারাখানায় দুপুরের খাবার খাচ্ছেন শ্রমিকরা ● বিবিসি

বিশ্বের নানা দেশ যখন কোভিড-১৯ বিস্তার ঠেকাতে মরিয়া হয়ে লড়ছে- তখন চীনের কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে উহান শহরে আংশিকভাবে লকডাউন উঠে যাবে।

এই উহান শহর থেকেই চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সূচনা- যা এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, উহান শহরটি যে প্রদেশের অন্তর্গত- সেই হুবেইয়ের সুস্থ বাসিন্দাদের চলাফেরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) মধ্যরাত থেকে প্রত্যাহার করা হবে।

এক সপ্তাহ ধরে উহানে নতুন কোনও করোনাভাইরাস রোগী না পাওয়া গেলেও মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) এক ব্যক্তির দেহে নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশই এখন পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।

গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকেই উহানকে সারা বিশ্ব থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল।

কিন্তু এখন কর্মকর্তারা বলছেন, যাদের ফোনের অ্যাপে বিশেষভাবে ইস্যু করা ‘সবুজ কোড’ রয়েছে তারা আগামী ৮ এপ্রিল থেকে উহান ত্যাগ করতে পারবেন।

সরকারি হিসেব মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের মূল ভূখণ্ডে প্রায় ৮০ জনের দেহে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে।

কিন্তু তাদের মধ্যে ৭৬ জনই সংক্রমিত হয়েছেন ‘বিদেশ থেকে আসা’ ব্যক্তিদের মাধ্যমে।

করোনাভাইরাসের এই ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ চীন ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরেও লক্ষ্য করা গেছে।

যদিও দুটি দেশই গত কয়েক সপ্তাহে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে বেশ সফল হয়েছে।

সাংহাই থেকে বিবিসির সংবাদদাতা রবিন ব্র্যান্ট জানাচ্ছেন, চীন নিজেকে একটি ‘করোনা-উত্তর’ দেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

গত সপ্তাহের উহানের মেডিকেল কর্মীরা ব্রিটেনকে সতর্ক করেছে এই বলে যে তারা যেন তাদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।

বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের রক্ষার্থে যেন সংক্রমণ-প্রতিরোধী পোশাক-পরিচ্ছদ সরবরাহ করা হয়।

করোনাভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ নিয়ে চীনের ভেতরে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানাচ্ছেন।

এরই মধ্যে চীনের কিছু শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক সোশাল মিডিয়ায় এই তত্ত্ব প্রচার করছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং তারা উহানে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে।

ইতালিতে উহানের আগে থেকেই কোভিড-১৯ উপস্থিত ছিল বলেও তারা বলার চেষ্টা করছেন।

বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, এসব বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে চীন তার নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে এবং প্রতিষ্ঠিত সত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। বিবিসি।

এসএমএম