• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২০, ০২:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২, ২০২০, ০২:০২ পিএম

বার বার কেন তথ্য গোপন

ভোল পাল্টে চীনের বুকে ফের করোনার ভয়াল থাবা

ভোল পাল্টে চীনের বুকে ফের করোনার ভয়াল থাবা

ভোল পাল্টে ফের চীনের বুকে থাবা বসিয়েছে করোনা মহামারি। সম্প্রতি এক পরিবর্তিত রূপে আবির্ভূত হতে শুরু করেছে করোনা। যেখানে পূর্বের মত আর লক্ষণ জানান দিয়ে কারও শরীরে নিজের উপস্থিতি প্রকাশ করছে না ভাইরাসটি। ফলে আগের চেয়ে আরো গুরুতর হয়ে ওঠতে পারে এ ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রকোপ।

সম্প্রতি নতুন এই করোনা সংক্রমণের সূচনাও হয়েছে চীন থেকেই। কিন্তু আশ্চর্যে ব্যাপার হচ্ছে পূর্বের মত এবারও শুরুতে বিষয়টির সত্যতা প্রকাশে বার আর বর্ণচোরার আচরন প্রদর্শন করেছে দেশটির সরকার। কিন্তু চীনের পাশপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও  স্বল্প মাত্রায় করোনার এই নতুন রুপ প্রকাশ পাওয়া বিষয়টি নজরে আসে গবেষকদের। এর পরই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে বিষয়টি স্বীকার করে চীন। জানা যায় এরইমধ্যে মাত্র সুস্থ হয়ে ওঠা অনেকেই ফের সংক্রমণের গ্রাসে পড়েছে।  

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিযোগ ছিল উপসর্গ ছাড়াই করোনা ছড়াচ্ছে এমন তথ্য চীন অস্বীকার করে আসছে। একই অভিযোগ ছিল খোদ দেশটির মানুষেরও। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বার বার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চীনের এই তথ্য গোপনের চেষ্টাই যেন দেশটির সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অথচ তাদের এই তথ্য গোপনের প্রচেষ্টার কারণেই আজ এতটা বিস্তৃত রুপ ধারণ করেছে করোনা।

শেষে চীন এ কথা স্বীকার করে বলেছে, সর্বশেষ তথ্য মতে উপসর্গ ছাড়াই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনকে আক্রান্ত করেছে করোনার এই নতুন মারণ বাণ। এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১ এপ্রিল) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য প্রকাশ করে। এর আগে নতুন মাত্রার এই করোনা আক্রান্তদের তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যাদের মধ্যে অধিকাংশের দেহেই করোনার কোনো উপসর্গ আগে ভাগে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এরপর থেকেই উপসর্গহীন আক্রান্ত ব্যক্তিদের তথ্য প্রকাশের জন্য চীনের ওপরও চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছিল। যার বিপরীতে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গতকাল বুধবার জানিয়েছে, দেশটিতে উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত মোট ১ হাজার ৩৬৭ জনকে শনাক্ত করা গেছে। চিকিৎকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তারা।

চীন জানায়, সোমবার করোনার লক্ষণহীন বা উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৪১ জন। তাদের মধ্যে ২০৫ জনই বাইরে থেকে এই ভাইরাস বহন করে দেশে নিয়ে আসে। ৩০২ জন চিকিৎসাধীন কিংবা পর্যবেক্ষণে নেই। তাই তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, এখন থেকে উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা নিয়মিত প্রকাশ করবে তারা। উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মঙ্গলবার শনাক্ত হয় ৩৬ জন। তাদের মধ্যে ৩৫ জনই বিদেশ থেকে আসা।

করোনার এই মডিফায়েড স্ট্র্যাটিজি গবেষকদের নতুন করে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছি। তারা বলছেন, এতে করে যে কোনো স্থানে করোনার কমিউনাল ট্রান্সমিশন আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি বিধ্বংসী ও প্রাণঘাতী হয়ে ওঠবে যেখানে সামান্য প্রতিরোধ গড়ার সুযোগও পাওয়া যাবে না। তাই সতর্কতার মাত্রা আরো বৃদ্ধিতে জোর তাগিদ দিয়েছেন গবেষকরা। 

এসকে