• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২০, ০৮:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৬, ২০২০, ০৮:৫০ পিএম

অরুন্ধতী রায়ের কলাম

ভারতীয় মিডিয়া ২৪ ঘণ্টা মুসলিম বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে

ভারতীয় মিডিয়া ২৪ ঘণ্টা মুসলিম বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে
বুকারজয়ী ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও লেখক অরুন্ধতী রায়

দিল্লির তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া কয়েক জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস পাওয়ার পর ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যেভাবে খবর প্রচারিত হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বুকারজয়ী ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও লেখক অরুন্ধতী রায়।

দ্য গড অব স্মল থিংসখ্যাত এই লেখক বিখ্যাত ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক দৈনিক পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে লেখা নিজের কলামে বলেছেন, এটি মুসলিমদের কলঙ্কিত করার চক্রান্ত।

‘দ্য প্যানডেমিক ইজ অ্যা পোর্টাল’ শিরোনামের নিবন্ধে অরুন্ধতী লিখেছেন, ‘এখানে (ভারতে) অর্থনৈতিক দুরবস্থা চলছে। চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এর ভেতর মূলধারার গণমাধ্যম ২৪/৭ ঘণ্টা মুসলিম বিরোধী ক্যাম্পেইন মেশাচ্ছে। তাবলিগ জামাত নামের একটি সংগঠন লকডাউনের আগে যে সভা করেছে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য তাকে সুপার স্প্রেডার বলা হচ্ছে।’

অরুন্ধতীর শঙ্কা, করোনাভাইরাসে ভারতের আরও বিপদ হবে। মানুষ ঘরে অসুস্থ হয়ে সেখানেই মারা যাবে। এমন অনেক গল্প কোনোদিন জানা যাবে না।

এদিকে দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২০ জন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯১ জন।

করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে বিশ্বজুড়ে চলছে জোর প্রচেষ্টা। বিশ্বের সব খ্যাতনামা গবেষকরা চেষ্টা চালাচ্ছেন করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে। এবার করোনার ফিংগার ট্রিপ ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিডলের মাধ্যমে হাতে এই ভ্যাকসিনটি দেওয়া হবে।

এরই মধ্যে ভ্যাকসিনটি শরীরে দেওয়ার জন্য ৪০০ টি নিডল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভ্যাকসিনটি রাখতে রেফ্রিজারেটরের কোন প্রয়োজন নেই। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে ফিংগার ট্রিপ ভ্যাকসিন। গবেষকরা বলছেন করোনার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই ফিংগার ট্রিপ ভ্যাকসিন। এছাড়া বেশ কিছু বিজ্ঞানী এই ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

এর আগে ইদুরের শরীরে সফল ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে ভ্যাকসিনটি। পিটসবার্গ স্কুল অফ মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন আগে সার্স এবং মার্সের সময়ে ওষুধ তৈরিতে কাজ করেছে তারা সে হিসেবে তাদের ভালো অভিজ্ঞতা আছে।

ইউনিভার্সিটি অফ পিটার্সবার্গ মেডিক্যাল সেন্টারের অধ্যাপক লুইস ফেলো বলছেন আমরা শরীরের ত্বকে ভ্যাকসিনটি দেওয়ার জন্য এই স্ক্র্যাচ পদ্ধতিটি তৈরি করেছি।