• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২০, ০১:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৭, ২০২০, ০১:১৭ পিএম

করোনাভাইরাস

যুক্তরাষ্ট্রে আরো ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রে আরো ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নিউইয়র্কে সাত পুরুষ ও মিশিগানে একজন নারী মারা গেছেন।

এ নিয়ে সোমবার (৬ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনায় এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৮৬ বাংলাদেশি প্রাণ হারালেন। তাদের মধ্যে নিউইয়র্কে ৮১ জন, নিউজার্সিতে চার ও মিশিগানে একজন।

জানা গেছে, নর্থ ব্রঙ্কস সেন্টাল হাসপাতালে সোমবার সকালে মারা যান ব্রঙ্কসের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ডা. ইফতেখার উদ্দিন কাঞ্চন। ৬৭ বছরের এই চিকিৎসক ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি স্বাস্থ্য বিভাগের মহামারী রোগ বিশেষজ্ঞ।

এদিকে এই মহামারীর সঙ্গে লড়াই করে এদিন ভোরে এলমহাস্ট্র হাসপাতালে মারা যান বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আজাদ বাকের।

জেএফকে টার্মিনাল ৫-এর এয়ারওয়ে কর্মরত জ্যামাইকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আজাদুর রহমান মারা গেছেন জ্যামাইকা হাসপাতালে। আজাদুরের বড় ভাই ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে আইসিইউতে রয়েছেন।

দুপুরে মারা যান ব্রঙ্কসের বাসিন্দা কুষ্টিয়া জেলা সমিতির উপদেষ্টা আফতাব উদ্দিন (৭১)। ভোরে ওজন পার্কে মারা যান ৭৭ বছর বয়সী বাবুল মিয়া।

ব্রুকলিনে মারা যান বেগমগঞ্জ ওয়েল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। ষাটোর্ধ্ব আবুল ফাররাহও মারা গেছেন ব্রুকলিনে।

এদিন দুপুরে মিশিগানের হ্যামট্রামিক সিটিতে করোনায় আক্রান্ত এক প্রবীণ বাংলাদেশি নারী (৭৩) মারা যান।

নিউইয়র্কে করোনায় আক্রান্ত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও রয়েছেন।

প্রসঙ্গত করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১ হাজার ২৫৫ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মারা গেছে ১০ হাজার ৮৭১ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়িয়ে গেছে সবাইকেই। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৩৩১ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৯ হাজার ৬৭১ জন।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৬২ জন আক্রান্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮৩ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। বাকি ৮ হাজার ৮৭৯ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছে।

এসকে