• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ০৭:০৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০, ০৭:১০ এএম

জাতিসংঘ ও বিশ্ব নেতাদের নিঃষ্ফল আহ্বান

আর্মেনিয়া-আজারবাইজান অব্যাহত সংঘাতে নিহত ৬৭

আর্মেনিয়া-আজারবাইজান অব্যাহত সংঘাতে নিহত ৬৭
• জাগরণ গ্রাফিক্স ডেস্ক

জাতিসংঘ ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আহ্বান উপেক্ষা করেই দ্বিতীয় দিনের মত সীমান্তে সামরিক সংঘর্ষ অব্যাহত রেখেছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। সীমান্তবর্তী বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের ইস্যুতে দু'দিনব্যাপী চলমান এই সংঘর্ষে জড়ায় দেশ দুইটি।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য মতে, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার এই যুদ্ধে অন্তত ৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক বার্তাসংস্থা আল জাজিরা।

রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য মতে, বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত কারাবাখের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে তাদের আরও ২৭ জন সেনা নিহত হয়েছে। এর আগে নিজেদের ২৮ জন সেনা নিহতের কথা জানায় তারা। এখন পর্যন্ত সংঘাতে নিহত মোট ৬৭ জনের মধ্যে ৫৮ জনই কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্য।

এছাড়া আজারবাইজান ও আর্মেনীয় পক্ষের ৯ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৭ জন আজারবাইজানের ও ২ জন আর্মেনিয়ার নাগরিক।

এদিকে চলমান এই সংঘাত বন্ধে দেশ দুটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো যুদ্ধ থামিয়ে সমস্যার সমাধানে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের রাষ্ট্র প্রতিনিধিদের প্রতি। 

তবে এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে আজারবাইজানের প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়ে পরিস্থিতি উস্কে দিচ্ছে তুর্কি সরকার। এমনটাই দাবি করছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের সূত্র ধরেই ২৭ সেপ্টেম্বর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিতর্কিত এই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। নতুন করে শুরু হওয়া এই সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান একে অপরকে দায়ী করেছে।

আশির দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে এই সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে দেশ দুটির মাঝে যুদ্ধবিরতী প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত চলমান সংঘর্ষে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে।

এসকে