• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২১, ০৫:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২১, ২০২১, ০৫:৩৮ পিএম

লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪৩ অভিবাসীর মৃত্যু 

লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪৩ অভিবাসীর মৃত্যু 

নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের আশায় ছিলেন আফ্রিকান অভিবাসীরা। কিন্তু লিবিয়ার বন্দর শহর জাউইয়া থেকে যাত্রা শুরুর ঘন্টা কয়েক পরই মাঝসমুদ্রে বন্ধ হয়ে যায় নৌকার ইঞ্জিন। মর্মান্তিক নৌকাডুবিতে ১০ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও মারা যান ৪৩ জন। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।
ইউরোপীয় দেশগুলি করোনাভাইরাস মহামারির পরবর্তী সময়ে আর আগের মতো শরণার্থী নিতে আগ্রহী নয়। এমনকি অনেক দেশ ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার অভিযানও বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে এমন নৌকাডুবিতে প্রতিদিন শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী মারা যাচ্ছে।

একমাত্র বেসরকারি সংস্থা এসওএস মিডিটেরিয়ানি নিয়োজিত আছে তাদের উদ্ধারকাজে। বুধবার জীবিত ১০ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও অন্য এক নৌকাডুবির ৪৮ জনকে উদ্ধারে যেতে পারেননি তারা। তাদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছিলো লিবিয়ান কোস্টগার্ড।

উন্নত জীবনের আশায় মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে চায় অভিবাসীরা। লক্ষ্য থাকে, যেকোনো মূল্যে ইউরোপে প্রবেশ করা। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ইতালি অনেক আগেই অভিবাসী নিবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে। এমনকি শরণার্থী শিবিরের জনসংখ্যা আর বাড়াতে চাইছেনা ইউরোপীয় অনেক দেশই। ফলে অভিবাসীরা নৌকায় করে ইউরোপে পৌঁছালেও বাধা আসছে দেশগুলোর নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীদের কাছ থেকে।

এদিকে জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় দেশগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের নীতি অনুসারে কোনো দেশ আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসী ও শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার আগেই অনিরাপদ দেশে ফিরিয়ে দিতে পারেনা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তরক্ষী এবং কিছু সংস্থা লিবিয়ান বাহিনীর সমর্থনে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে।