শনিবার (০৬ মার্চ) রাতভর মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন বড় শহরে ধরপাকড় চালিয়েছে সেনাবাহিনী। ইয়াঙ্গুনে ৩ জনসহ বিভিন্ন রাজ্যে আটক করা হয়েছে অনেককে। মিয়ানমারে বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রাখা হয়। জান্তাবিরোধী আন্দোলন দমাতেই এই পদক্ষেপ বলে ধারণ করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানায়, এ নিয়ে দেশটিতে পুলিশ আর সেনাবাহিনীর ধরপাকড়ে আটকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০০ জনে। তবে সেনাবাহিনীর এই ধরপাকড় থামাতে পারেনি আন্দোলনের গতি।
রোববারও (৭ মার্চ) সেনাশাসন বিরোধী আন্দোলনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় অবস্থান করছেন। শনিবার (৬ মার্চ) গভীর রাতে ইয়াঙ্গুনের গণতান্ত্রিক নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সেনাবাহিনী। এরপর সকাল থেকেই রাজপথে নামেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীদের সংগঠন দ্য জেনারেল স্ট্রাইক কমিটি অব ন্যাশনালিটিস জানায়, বৃহত্তর ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও মানেওয়া শহরে আজ সারাদিন বিক্ষোভ চলবে। তবে চলমান আন্দোলনেও বিক্ষোভকারীদের ওপর যথারীতি দমন-পীড়ন চালাচ্ছে পুলিশ। দেশটিতে এ পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে ৫৫ জন।
এর আগে শুক্রবার (৫ মার্চ) মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিক্ষোভকারীদের দমনের অভিযানের নৃশংসতার ভিডিও প্রকাশ পায় বিভিন্ন খবরে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে সেনা সরকার।
১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ শীর্ষ নেতাদের আটক করে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপরই দেশজুড়ে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শুরু করে মিয়ানমারের জনগণ। বিগত দিনগুলোতে আন্দোলনের আকারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পুলিশি তাণ্ডব আর সেনাদের ধরপাকড়।