• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২১, ১১:৪৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৯, ২০২১, ০৩:০০ পিএম

সাত দিন পর সচল সুয়েজ খালের জাহাজ

সাত দিন পর সচল সুয়েজ খালের জাহাজ

টানা ৭ দিন চেষ্টার পর সুয়েজ খালে আটকে পড়া দৈত্যাকার জাহাজ এমভি এভার গিভেনকে সরিয়ে নেওয়ায়  প্রক্রিয়া আশার মুখ দেখছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার জাহাজটিকে আবারও সচল করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে মেরিটাইম সার্ভিস কোম্পানি ইঞ্চক্যাপ। জাহাজটি পাড় থেকে নামিয়ে পানিতে আনতে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারী দল।

মেরিটাইম সার্ভিস কোম্পানি ইঞ্চক্যাপ কর্তৃপক্ষ জানায়, আড়াআড়িভাবে আটকে পড়া এভার গিভেন পুনরায় সচল করা হয়েছে এবং এটিকে সোজা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জাহাজটি উদ্ধারে ব্যবহার করা হয়েছে টাগবোটস ও ড্রেজার। জাহাজটি সোজা করা গেলে শীঘ্রই সুয়েজ খাল দিয়ে নৌযান চলাচলও শুরু করা যাবে।

জাপানি মালিকানার পরিচালিত হয় এমভি এভার গিভেন। জাহাজটি ৫০০ মিটার লম্বা, ৫৯ মিটার চওড়া, দুই লাখ ২০ হাজার টনের।জাহাজটি ভূমধ্যসাগরের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালের মধ্যে আড়াআড়িভাবে আটকে যায়। প্রবল বাতাসের কারণে জাহাজের হাল বিচ্যুত হয়ে ঘুরে যাওয়া জাহাজের তলা খালের নিচে কাদামাটির মধ্যে আটকে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মালবাহী জাহাজটি সুয়েজ খালে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ)থেকে আটকে ছিল। এতে প্রায় ২শ'র বেশি জাহাজ আটকে পড়ে। অনেক জাহাজ আফ্রিকা ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছে।

সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের জানায়, খালের দুপাশে অন্তত ৩৬৯টি জাহাজ আটকে যায়। সুয়েজ খাল আটকে যাওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে এক হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে মিসরেরই প্রতিদিন ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ ডলার।

১৮৫৯ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত কাজ চলে সুয়েজ খাল নির্মাণের। ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে সুয়েজ খাল। এছাড়াও আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশকে পৃথক করেছে। যা এখন নিয়ন্ত্রণ করছে মিসর।