বিশ্বজুড়ে করোনা আতংকের মাঝেই আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে বিক্ষোভে রাজপথ উত্তাল রেখেছে শ্রমিকরা। দেশে দেশে শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন ডাক দিয়েছে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে।
বিক্ষোভ হয়েছে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। অনেক দেশেই করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা এসব বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে।
মে দিবসের সবচেয়ে বড় শ্রমিক সমাবেশ হয়েছে জার্মানি, রাশিয়া, স্পেন, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, কিউবা, কলম্বিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে। বড় আকারের বিক্ষোভ হয়েছে তুরস্ক ও ফ্রান্সে। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে আড়াইশোর বেশি মানুষ।
বিবিসি জানায়, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শ্রমিক সংগঠনগুলো বেশ কিছু দাবি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে তাতে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় দু'পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
ফ্রান্সে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত ইয়োলো ভেস্ট বিক্ষোভকারীদের কয়েকটি দল সড়ক অবরোধ করে ও ভাংচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।
অন্তত ১ লাখ ৬ হাজার মানুষ ফ্রান্সের মে দিবসের র্যালিতে যোগ দিয়েছে। প্যারিস, লিওঁ, লিলি, তুলৌসসহ বেশ কয়েকটি বড় শহরে তিন শতাধিক র্যালির আয়োজন হয়।
এদিকে তুরস্কের প্রধান শহর ইস্তাম্বুলে মে দিবসে লকডাউন উপেক্ষা করে শ্রমিক ও মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করে। এসময় লাঠিচার্জের পাশাপাশি ব্যাপক ধরপাকড় চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। অন্তত ২১২ আন্দোলকারীকে আটক করে পুলিশ।
অন্যদিকে শ্রমিক দিবসে যুক্তরাজ্যের আন্দোলন দমনের বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডনে। ‘কিল দ্য বিল’ র্যালিতে যোগ দেন কয়েক হাজার মানুষ।
জার্মানিতে সরকারের করোনা নীতির বিরধিতা করে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এছাড়া স্পেন, রাশিয়া, কিউবাসহ বেশ কিছু দেশে বড় ধরণের শ্রমিক সমাবেশ হলেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।