• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ০৮:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০২১, ০৮:৪০ পিএম

রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়

রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়

ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রাজনীতিকে বিদায় জানান বিজেপির এই নেতা।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, সমাজসেবা করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায়। আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই, তারপরে...।

মন্ত্রিত্ব-হারানোর পর বাবুলের রাজনীতি ছাড়ার জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনাই সত্যি হলো এবার। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, হ্যাঁ, সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিচ্ছি। রাজনীতি ছাড়তে চেয়ে বারবার অমিত শাহ-নাড্ডার কাছে গিয়েছি। বারবার আমাকে অনুপ্রাণিত হয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা। আমি কী করতে চাই, অনেকদিন আগেই ঠিক করে নিয়েছি।

বিজেপি ছাড়লেও অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত উড়িয়ে দিয়েছেন দেশটির সাবেক এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? তিনি বলেছেন, অন্য কোনও দলে যাচ্ছি না। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম— কোথাও নয়। কনফার্ম করছি! কেউ আমাকে ডাকেওনি। আমিও কোথাও যাচ্ছি না।

বাবুল লিখেছেন, আমি একটা দলেরই সদস্য। সবসময় একটা দলকেই সমর্থন করে এসেছি। #মোহনবাগান। শুধুমাত্র বিজেপিই করেছি। তিনি লিখেছেন, পরিবারের সবার কথা শুনেছি, অন্য কোনও দলে যাচ্ছি না, কেউ ডাকেনি। বেশ কিছু সময় তো থাকলাম, কিছু মন রাখলাম, কিছু মন ভাঙলাম। আমি আমার মতো করেই বলছি, চললাম।

২০১৪ সালে ধূমকেতুর মতো রাজনৈতিক উত্থান ঘটে বাবুল সুপ্রিয়র। আসানসোলের দুই বারের সাংসদ। প্রথমবার সাংসদ হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। ২০১৪ থেকে প্রায় ৭ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল আনেন নরেন্দ্র মোদি। আর তাতেই মন্ত্রিত্বের মেয়াদ সম্পন্ন হওয়ার আগেই বাদ পড়ে যান তিনি। এবিপি আনন্দ, হিন্দুস্তান টাইমস।

জাগরণ/এসকে