• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, ১১:২৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১, ১১:২৫ এএম

দেড় যুগ পর মেরকেলের দলের হার

দেড় যুগ পর মেরকেলের দলের হার
সংগৃহীত ছবি

জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে মধ্য বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি) বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোটে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নকে (সিডিইউ) খুব সামান্য ব্যবধানে হারিয়ে সরকার গঠনের জন্য জোট গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করছে এসপিডি।

তবে ক্ষমতাসীন জোট বলেছে, তারাও সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাবে। ফলে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে কিছুটা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। 

প্রাথমিক ফলাফলে এসপিডি মোট ভোটের ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ পেয়েছে। মেরকেলের রক্ষণশীল জোট সিডিইউ-সিএসইউ পেয়েছে ২৪ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা গ্রিনস পার্টি ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং উদারপন্থি ফ্রি ডেমোক্র্যাটস (এফডিপি) পেয়েছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট।

এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎজ বলেছেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে। সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভোটাররা একটি বাস্তবধর্মী সরকার গঠনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে। 

মেরকেলের আশীর্বাদপুষ্ট সম্ভাব্য উত্তরসূরি আরমিন লাশেট বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টি এখন জোটের অঙ্কে নির্ধারিত হবে।

বুথফেরত জরিপে দু’দলই সমান ভোট পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসডিপিই এগিয়ে গেল। এখন জোট সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে গ্রিনস এবং এফডিপির হাতে। চূড়ান্ত ফলাফলে যে দলই এগিয়ে থাক, সরকার গড়তে তাদের জোটের শরণাপন্ন হতে হবে। ফলে নতুন চ্যান্সেলর কে হবেন, তা জানতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে।

জোট গঠনের আলোচনায় মেরকেল তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই প্রথমবারের মতো জার্মানি একটি ত্রিমুখী জোটের মুখোমুখি হচ্ছে।

জার্মানির সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টির (এসপিডি) চ্যান্সেলর প্রার্থী ওলাফ শলৎস, ছবি: রয়টার্স

৬৩ বছর বয়সী ওলাফ শলৎজ জোট গঠনে সফল হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তিনি হতে পারেন এসপিডির চতুর্থ চ্যান্সেলর। মেরকেলের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শলৎস একসময় হামবুর্গের মেয়র ছিলেন।

২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউরোপীয় রাজনীতির মঞ্চে বড় একটি অবস্থানে দাঁড়িয়েছিলেন মেরকেল। এবারের নির্বাচনে তার দল এ যাবৎকালের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে। অবশ্য মেরকেল আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আর চ্যান্সেলর পদে লড়বেন না। তিনি নির্বাচন করলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত বলে অনেকে মনে করেন।

উগ্র বামপন্থিরা নির্বাচনে ভালো করতে পারেনি। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটের ১০ দশমিক ৩ শতাংশ পেয়েছে উগ্র ডানপন্থি দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)। চার বছর আগে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে জায়গা করে নিয়েছিল দলটি। তবে দলটি এবার পূর্বাঞ্চলীয় সাক্সনি এবং থুরিংয়া রাজ্যে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মূল ধারার রাজনীতিকরা এ দলটির সঙ্গে জোট গড়ার কথা নাকচ করে দিয়েছেন।

প্রাপ্ত ভোটের হারে ৭৩৫ আসনের জার্মান সংসদে এসডিপি ২০৬, সিডিইউ-সিএসইউ ১৯৬, গ্রিনস ১১৮, এফডিপি ৯২, এএফডি ৮৩ আসন পেতে পারে। বাকি আসন পাবে অন্য কয়েকটি দল। বিবিসি।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ